বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

কর্তৃত্ববাদী নীতি ও আচরণ কোনো সরকারের জন্যই শুভ নয়

কামরুল হাসান দর্পণ | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১০ এএম

সরকার যখন কর্তৃত্ববাদী হয়ে পড়ে, তখন তার পতনের কারণ সে নিজেই তৈরি করে। কারণগুলো একে একে পাঁকিয়ে কুপির সলতের মতো হয়ে উঠে। উপযুক্ত ও কার্যকর বিরোধীদল তখন সে সলতেতে আগুন ধরিয়ে দিলে সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। এভাবে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটার অনেক দৃষ্টান্ত ইতিহাসে রয়েছে। এ ধরনের সরকার পতনের এটা একটা রাজনৈতিক উপায়। আবার এর ব্যতিক্রমও যে হয় না, তা নয়। কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেকের পতন হয়েছে ভিন্ন উপায়ে। হয় রক্তাক্ত সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, নতুবা রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। তবে বর্তমান বিশ্বে একনায়কতান্ত্রিক বা গণসমর্থনের তোয়াক্কা না করা সরকারের পতনের প্রক্রিয়া ভিন্ন রূপ লাভ করেছে। রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পরিবর্তে কর্তৃত্ববাদী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দেশ থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার পথ করে দেয়ার মাধ্যমে পতন ঘটানোর প্রক্রিয়া এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে, আফগানিস্তান। গত বছর আফগানিস্তানের প্রত্যেক এলাকা যখন একে একে তালেবানের দখলে চলে যাচ্ছিল এবং আশরাফ ঘানির সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার হয়ে পড়েছিল, তখন তাকে ‘সেফ এক্সিট’ বা নিরাপদ প্রস্থানের সুযোগ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আশরাফ ঘানির দেশ ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে তা করা হয়েছে। যদি তিনি যেতে না চাইতেন, তাহলে তালেবানের সাথে সরকারি বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হতো এবং রক্তাক্ত ঘটনা ঘটতো। এ ঘটনায় যে তালেবান বিজয়ী হতো, তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। এমন এক পরিস্থিতিতে আশরাফ ঘানি তার পরাজয় মেনে নিয়েই নিরাপদে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করেন। আশরাফ ঘানির সরকার একনায়কতান্ত্রিক না হলেও সে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল সরকার। বিশ্বে একনায়কতান্ত্রিক সরকারের বিদায়ের এমন আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে, যারা গণঅভ্যুত্থান হোক কিংবা ‘সেফ এক্সিটে’র মাধ্যমে হোক, ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো ভূমিকা রাখে। তারা এখন রক্তাক্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে একনায়কতান্ত্রিক সরকারের বিদায়ের বিষয়টির চেয়ে আপোষ-রফার মাধ্যমে দেশ ত্যাগ বা বিদায় নেয়ার নীতি সমর্থন করছে। আমাদের দেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতন হলেও তাতে সরকারের কেউ হতাহত হয়নি। এরশাদ নিজ থেকেই পদত্যাগ করে ক্ষমতা থেকে সরে যান। পরবর্তীতে বিভিন্ন মামলায় তাকে জেল খাটতে হয়। ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনাটিও অনুরূপ। যদিও সে সময়ের ক্ষমতাসীন দলের সাথে বিরোধীদলের বিরোধটি ছিল দলীয় সরকারের অধীনে নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও তার অধীনে নির্বাচন নিয়ে। এক্ষেত্রে সে সময় ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার অভিযোগ উঠেনি। তারপরও বিরোধীদলের আন্দোলন এবং জটিল পরিস্থিতির মুখে পশ্চিমা দেশগুলোর তৎপরতায় সামরিক বাহিনী সমর্থিত একটি সরকার গঠিত হয়। সেখানে ক্ষমতাসীন দলকে রক্তপাতহীন অবস্থায়ই বিদায় নিতে হয়। পরবর্তীতে ওয়ান-ইলেভেন সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া দল ও বিরোধীদলের নেত্রীদ্বয়কে গ্রেফতার করে কারাবন্দি করেছিল।

দুই.
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর তার নানা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত ও ইস্যু নিয়ে বিরোধীদলগুলোর আন্দোলন করা স্বাভাবিক রাজনৈতিক বিষয়। ক্ষমতাসীন দলের বিতর্কিত ও ভুল সিদ্ধান্ত বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের রসদ যোগায়। পরে সেটাই সরকারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। আবার ক্ষমতায় গিয়ে যদি কোনো সরকার একনায়কতান্ত্রিক হয়ে উঠে এবং বিরোধীদলকে দমন-পীড়নের মাধ্যমে দমিয়ে রাখার প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, তখন সে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারলেও এ সময়ের মধ্যে অসংখ্য ইস্যু তার জন্য কুপির সলতে হয়ে উঠে। স্বাভাবিক রাজনীতিকে অবদমিত করে কর্তৃত্ববাদী সরকারের দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা এবং জনসম্পৃক্ততা কমে যাওয়ায় তার গণ্ডিও ছোট হয়ে আসে। তখন না পারে ক্ষমতা ছাড়তে, না পারে ধরে রাখতে। অনেকটা বাঘের পিঠে চড়ে বসার মতো হয়ে দাঁড়ায়। পিঠেও থাকতে পারে না, আবার নামলেও বাঘে খেয়ে ফেলার শঙ্কা থাকে। তখন তার জন্য ‘সেফ এক্সিট’ বা নিরাপদ প্রস্থানের পথ অনিবার্য হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী দেশগুলো নিয়ামকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সরকার পরিবর্তনের নানামুখী তৎপরতা চালায়। সংশ্লিষ্ট দেশের গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ হওয়ার বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে। এর পেছনে যে, তাদের নিজ স্বার্থ লুকিয়ে থাকে, তা বলা বাহুল্য। তারা চায়, সংশ্লিষ্ট দেশ তার কথামতো চলুক এবং তার স্বার্থ রক্ষা করুক। এর ব্যত্যয় ঘটলেই নাখোশ হয় এবং কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠা সরকারকে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করতে থাকে। সহায্য-সহযোগিতা বন্ধ বা সংকুচিত করা এমনকি নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপও নেয়। অবশ্য প্রভাবশালী দেশগুলোকে এ সুযোগ করে দেয় সরকারের একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের নামে ‘মোড়লতন্ত্র’ চালায়। বিরোধীদলকে কোনঠাসা করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করা, তার ফরমায়েস মতো সংবাদ পরিবেশনে বাধ্য করা, বিরোধীমত স্তব্ধ করে দেয়া থেকে শুরু করে খুন, গুমের মতো চরমপন্থা অবলম্বন করে। মৌলিক অধিকার খর্ব করার এসবই দেশ থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সমালোচিত হয়। সমালোচিত হলেও সরকার তা গা করে না। অন্যদিকে, উন্নয়নের কথা বলে একপেশে উন্নয়ন ও সরকারের টিকে থাকার জন্য যাকে ও যে গোষ্ঠীকে প্রয়োজন, তাদের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতে থাকে। মুখে মুখে জনগণের কল্যাণের কথা বললেও, তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ও সহজ করার কোনো উদ্যোগ নেয় না। নিত্যপণ্যের বাজারে লুটেরাদের সুযোগ করে দেয়ার ফলে জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও তাতে কোনো রা করে না। কারণ, জনগণ তার কাছে মুখ্য নয়। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যাদের বা যে গোষ্ঠীর প্রয়োজন, তারা সন্তুষ্ট থাকলেই তার আর কারো প্রয়োজন পড়ে না। জনগণের সংজ্ঞা তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে ফেলে।

তিন.
আমাদের দেশে কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। যদিও অবদমিত বিরোধীদল এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচকে ‘হাইব্রিড’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অথচ ক্ষমতাসীন দল ২০০৯ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে সরকার গঠন করেছিল। দলটির এই বিপুল বিজয়ে আশা করা হয়েছিল, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দলটির দীর্ঘ আন্দোলনের কারণে দেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের চিরায়ত রাজনৈতিক ধারার মধ্য দিয়ে মোটামুটি সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিরোধীদলের বিরোধিতা, সরকারিদলের বিরোধীদলের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার মতো রাজনীতি চলতে থাকে। সমস্যা দেখা দেয়, পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে। ক্ষমতাসীন দল আদলতের রায় বিবেচনায় নিয়ে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তা বাতিল এবং সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি তুলে দেয়। আমাদের দেশে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হয় না, এই অমোঘ সত্যটি উপেক্ষা করা হয়। বিরোধীদলের শত আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেও ক্ষমতাসীন দল নিজের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় থাকে এবং বিনাভোটের একটি নির্বাচন করে ফেলে। এই বিতর্কিত নির্বাচনের পরই ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদলকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলায়। তার মধ্যে এক ধরণের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব জোরালো হয়ে উঠে। পরবর্তী নির্বাচনে বৃহত্তম বিরোধীদল অংশগ্রহণ করলেও তাতে ক্ষমতাসীন দলের এমনই চাতুরি ছিল যে, দিনের ভোট রাতে হয়ে যাওয়ার মতো অভাবনীয় ঘটনা ঘটে। ক্ষমতাসীন দলের এমন কূটচালে মাঠের বিরোধীদলের পরাস্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে তার ‘কর্তৃত্ববাদী’ হয়ে ওঠার বদনাম ওঠে। তাতে অবশ্য সে কিছু মনে করেনি বা করছে না। তবে তার এই কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠার প্রবণতার মধ্যে বিরোধীদলের আন্দোলনের অনেক ইস্যু জমতে থাকে। দলবাজী, দুর্নীতি, অপশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকোচন, বাকস্বাধীনতা হরণের মতো একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠতে থাকে। এর সাথে যুক্ত হয়, জনগণের জীবনমানের উন্নয়নকে উপেক্ষা করা। সরকারের দমন-পীড়নে বিরোধী দলগুলো কার্যত নিস্তেজ হয়ে পড়ে। বিরোধী দলগুলো এমতাবস্থায় সরকারের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে থেকে যতটুকু পারা যায়, ততটুকু রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বক্তৃতা-বিবৃতি সর্বস্ব হয়ে পড়েছে। এতে নিয়মরক্ষার রাজনীতি হলেও, তাদের সরকার পতনের লক্ষ্যে তৈরি হওয়া সলতেতে আগুন দেয়ার মতো সামর্থ্য নেই। ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও অনেকটা তাচ্ছিল্যের স্বরেই বলে চলেছে, সরকারের পতন ঘটানোর মতো মুরোদ বিরোধীদলের নেই। বিরোধীদলের এই মুরোদ না থাকার ফলেই সরকার তার ইচ্ছামতো যা খুশি তা করছে।

দেশের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, চাকরিচ্যুতি, আয় কমে যাওয়ার মধ্যে নিত্যপণ্য মূল্যের অবিশ্বাস্য ঊর্ধ্বমুখীতা তাদের জীবনীশক্তি প্রায় নিঃশেষ করে ফেলছে। অসংখ্য মানুষ ক্ষুধা পেটে নিয়েই ঘুমাতে যাচ্ছে। তাদের সামনে সরকারের তুলে ধরা হাজার হাজার কোটি টাকার বড় বড় মেগাপ্রকল্প আসমানের চাঁদের মতো ঝলসানো রুটি মনে হয়। এসব প্রকল্প তাদের খাবারও দেয় না, পকেটে পয়সাও দেয় না। উল্টো পকেট থেকে পয়সা কেড়ে নেয়। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলেও যে, এগুলো থেকে তাদের পকেটে পয়সা আসবে কিংবা খাবার জুটবে, তার নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে, সরকার পরিসংখ্যানগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বেকারত্ব, মানুষের আয় কমে যাওয়া, চাকরি হারানো মানুষের বিষয়গুলো ঢেকে দিতে চাইছে। এসব সমস্যা স্বীকারই করতে চাইছে না। যারা এসব নিয়ে কথা বলে তাদের উল্টো ধুয়ে দেয়া হয়। এই যে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, এ নিয়েও সরকারের তরফ থেকে কোনো টুঁ শব্ধ নেই। এর কারণ হচ্ছে, সরকার সাধারণ মানুষকে গণায় ধরছে না। তারা মরল কি বাঁচল, এ নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই।

চার.
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসার মূল কারণ হচ্ছে, বহু আগে থেকে এসব অভিযোগ সরকারের আমলে না নেয়া বা পাত্তা না দেয়া। এই আমলে না নেয়ার মধ্যেও সরকারের অহং বা নিরঙ্কুশ ক্ষমতার বিষয়টি কাজ করেছে, যা কর্তৃত্ববাদী সরকারের মধ্যে দেখা যায়। দেশের জনগণ ও বিশ্বের গণতান্ত্রিক ক্ষমতাধর দেশগুলো যে তা ভালোভাবে নেয়নি বা নিচ্ছে না, তার উপেক্ষার ফলই নিষেধাজ্ঞা আসা। যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে যতই সমালোচনা থাকুক না কেন, দেশটিতে অন্তত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রয়েছে। তা নাহলে, কর্তৃত্ববাদী ও গোয়ার হয়ে উঠা ডোনাল্ড ট্রাম্পই ক্ষমতায় টিকে থাকত। তার পরাজয় হয়েছে, দেশটির গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কাছে। দেশটি শুধু নিজের দেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, এটা চায়। আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যে সংকুচিত, এ বিষয়টি তার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। এজন্যই কয়েক মাস আগে জো বাইডেনের উদ্যোগে বিশ্বের ১০০ দেশের প্রতিনিধি নিয়ে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ ডাক পায়নি। উল্টো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশ ও র‌্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বলার অপেক্ষা রাখে না, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে।
darpan.journalist@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন