নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকার ফারিয়া গার্মেন্টের সামনের একটি ডোবা থেকে দেহবিহীন নারীর মাথা উদ্ধারের রহস্য পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাকে কয়েক টুকরো করে খন্ডিত অংশ ফ্রিজে রেখে একে একে ফেলে দেওয়া হয় ওই ডোবাতে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টুকরো করা অংশগুলো উদ্ধার করে। এর আগে গ্রেফতার করা হয় ঘাতক রাসেলকে। সে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার ঝুমুরগঞ্জ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ পিবিআই উপ পরিদর্শক (এসআই) শাকিল হোসেন বলেন, রাসেল তার স্ত্রীর দেহ কয়েক টুকরো করে বাড়ির পাশের ওই ডোবায় ফেলে দেয়। তখন রাসেল তার বাড়িওয়ালা সিরাজ খানকে জানান তার স্ত্রী তানজিনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছে। এরপর সে বাসা ছেড়ে চলে যায়। রংপুর থেকে রাসেলকে গ্রেফতারের পর জানা যায় মাথাটি যে ডোবায় পাওয়া গেছে সেখানেই দেহ কয়েক টুকরো করে ফেলে দেয়া হয়েছে।
পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, রাসেলের সঙ্গে তানজিনার প্রেম ছিল। পরে তারা স্বামী পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু পরকীয়ার কারণে তাদের সংসারে কলহ দেখা দেয়। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ তানজিনাকে ঘরে থাকা বটি দিয়ে গলা কেটে ও শরীরের অংশগুলো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয় রাসেল। ৪ এপ্রিল বস্তাবন্দী করে সেগুলোও পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। ঘটনার পর হত্যায় ব্যবহৃত বটি ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ওই বাড়ি থেকে চলে যান রাসেল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন