খুলনা ব্যুরো : কাউন্সিল প্রক্রিয়া নিয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধের জেরে পন্ড হয়ে গেছে খালিশপুর থানা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভা। বাগি¦তÐা থেকে হাতাহাতি ও ভাংচুরের ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিসহ পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন। ভেঙে তছনছ করা হয়েছে শতাধিক চেয়ার ও কয়েকটি টেবিল। মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সামনেই ঘটে মারপিটের ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে সভা মূলতবি করে রোববার বিকাল ৪টায় মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে সভার ঘোষণা দেয়া হয়। বিএনপির কেন্দ্র থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব থানার সম্মেলন সম্পন্ন করে কাউন্সিলের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের নির্দেশ আসে। নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় থানায় সম্মেলন আয়োজনের জন্য চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরই ধারবাহিকতায় শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নিউজপ্রিন্ট মিল গেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে খালিশপুর থানা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহŸান করা হয়। থানা কমিটির সভাপতি অ্যাড. ফজলে হালিম লিটনের সভাপতিত্বে সভার কাজ শুরু হলে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম মঞ্জু নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়া অন্যদেরকে মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
সভা সূত্র জানিয়েছে, এ সময় নেতা-কর্মীদের একটি অংশ বিগত দিনে হয়ে যাওয়া থানার অন্তর্গত নয়টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন। তারা বলেন, এখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার কথা বলা হলেও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে এই নীতি মানা হয়নি। কোনো ভোট হয়নি, তৃণমূল কর্মীদের মতামত নেয়া হয়নি, আন্দোলন সংগ্রামে কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। ওয়ার্ড সম্মেলনের দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু তার অনুসারীদের কথামতো পকেট থেকে কাগজের টুকরা বের করে তাতে লেখা নামগুলো সভাপতি-সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করে গেছেন। সেখানে ভোটের বা কর্মীদের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি। এ নিয়ে বহুবার দলীয় ফোরামে ও বাইরে আপত্তি জানালেও নগর বিএনপি নেতারা তাতে কর্ণপাত করেননি। বরং পত্রপত্রিকায় এ সম্পর্কে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠুর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হয়েছে। এখনো ওই কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে কাউন্সিলর তালিকা করা হলে সেই কমিটিতে এক ব্যক্তির পছন্দের লোকেরাই জিতবে। নেতৃত্ব তাদের হাতেই আবারও কুক্ষিগত হয়ে পড়বে।
তাদের এই আপত্তির মুখে অপর একটি অংশ বিরোধীতা করে হৈ চৈ শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগি¦তÐা ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মোহাম্মদ বাবুর মাথা ফেটে যায়। আহত হন আরো চার-পাঁচজন। চেয়ার ভেঙে হামলা চালানো হয় প্রতিপক্ষের ওপর। এ সময় মঞ্চে ছিলেন কেসিসের মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু প্রমুখ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ সভা মূলতবি ঘোষণা করেন এবং রোববার বিকাল ৪টায় কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি অফিসে সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন