বগুড়া বিসিকে জোড়া খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার রড, ২ টি বাটন মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। বগুড়ার এসপি সুদীপ চক্রবর্ত্বী এক সংবাদ ব্রিফিং এ জোড়াখুনের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্বী তার সভাকক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বগুড়া ডিবির একটি টিম গত শনিবার বগুড়া ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে জোড়া খুনে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হল বগুড়া বিসিকের মাছু অ্যান্ড সন্সের ট্রাক ড্রাইভার হোসাইন বিন মিল্লাত নিনজা (৩৪), তার হেলপার রাহাত (২১) ও সুমন ব্যাপারী।
তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহ্যত লোহার একটি রড, নিহত হান্নানের একটি ও ঘাতকদের ব্যবহ্যত অপর একটিসহ মোট ২ টি বাটন মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের কাছে দেওয়া ১৬১ ধারায় দেওয়া জবানবন্দীতে গ্রেফতারকৃতরা জানায় হত্যাকান্ডটি তারাই ঘটিয়েছে। পুলিশ ধৃতদের জবানবন্দী ও অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পেরেছে মাছু অ্যান্ড সন্স ইন্ডাস্ট্রির ড্রাইভার কারখানার মালামাল চুরির সাথে জড়িত ছিলো। ওই কারখানার দুই নাইট গার্ড শামসুল ইসলাম ও আব্দুল হান্নান তার এই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ালে হোসাইন বিন মিল্লাত তাদের মুখ বন্ধ করতেই তাদের হত্যা করে।
এসপি জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোরে মিল্লাত ও রাহাত সুমন ব্যাপারীসহ আরও দুজনের সহযোগিতা নিয়ে কারখানার পেছনের দিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মাথার পেছনের দিকে লোহার রডের আঘাতে হত্যা করে। কারখানার বর্জ নিষ্কাশনের ট্যাংকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে নিহত হান্নানের মোবাইল ফোনসেট থেকে নিহতদের পরিবার ও কারখানার মালিকদের ফোন করে জানায় যে, মাছু অ্যান্ড সন্স ইন্ডাস্ট্রির দুই গার্ডকে অপহরণ করা হয়েছে, তাদের মুক্তি চাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে।
পুলিশ মোবাইল ফোনকল, মেসেজে ও অন্যান্য সুত্র ধরে আসামীদের গ্রেফতার করে। নিয়মমাফিক তাদের কোর্টের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, বগুড়া বিসিকের মাছু অ্যান্ড সন্স ইন্ডাস্ট্রিজ নামক কড়াই ও হাড়িপাতিল নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের দুই নাইট গার্ড শামসুল ও হান্নান ডিউটিরত অবস্থায় গত বুধবার নিখোঁজ হয়ে যায়। শুক্রবার বিকেলে কারখানার ভেতরের বর্জ নিষ্কাশনের ট্যাংকে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন