সুনামগঞ্জের ছাতকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃৃতীয় ধাপে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কার্যক্রম চলছে পুরোদমে। এ যেন উঁকি দিচ্ছে ঘরহীন মানুষের স্বপ্ন। নির্মাণাধীন ঘর এখন দৃশ্যমান। ফাঁকা জায়গায় মনোরম পরিবেশে নির্মানাধীন এসব ঘর দেখে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে নির্বাচিত ভূমিহীন পরিবারগুলোর মনের আনন্দের যেন ঢেউ খেলছে। মাথা রাখার ঠাঁই হবে তাদের। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করবে।
উপজেলার শাহ আরেফিন নগর, জয়নগর, জোড়াপানির পয়েন্ট, জীবেরতল, মোল্লাপাড়া ও বাবনগাঁও গ্রামে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ১’শ ৮৫টি ঘরের কাজ প্রায় শেষের দিকে। রান্না ঘর ও টয়লেটসহ বারান্দা তৈরি করা হচ্ছে। করা হচ্ছে সুপেয় পানি এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এইসব ঘরে বসবাস করার স্বপ্ন দেখছেন গৃহহীন পরিবারগুলো।
দিনমজুর আবদুল আহাদ জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন করায় তিনি একটি ঘর পেয়েছেন। ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। তার স্ত্রী সন্তানেরা মুখিয়ে আছেন নিজস্ব ঘরে উঠার জন্য।
প্রকল্পের সভাপতি ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান জানান, বিপন্ন মানুষের আশ্রয় ও আবাসন নিশ্চিত করা, ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমুল, অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনের লক্ষেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। এখানে থাকা প্রতিটি পরিবারকে ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণই আশ্রয়ণ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় উপকরণের সিমেন্ট, ইট-বালু, রড, কাঠ, টিন গুণগত মান শতভাগ বজায় রেখে কাজ চলছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক জানান, পৃথিবীর কোনো দেশেই এরকম একযোগে এতোগুলা মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে দেয়ার নজির নেই। যা বঙ্গবন্ধু কন্যা করে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো এদেশে কেউ ভূমিহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের উপকারভোগীদের দায়িত্ব হলো তাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন