শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সকল ফিচার

কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া বাঁচবে না কলেজ ছাত্রী উর্মি

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৭ পিএম

একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শবনম মেহার উর্মি। উচ্ছ্বল প্রাণবন্ত এই শিক্ষার্থী যে চোখে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনছিল; হঠাৎ-ই সে চোখে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা। হঠাৎ করেই ধরা পড়েছে তার দু’টি কিউনিই নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন বাঁচাতে উর্মির কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। যার জন্য প্রয়োজন বিপুল অংকের টাকা। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে তা জোগাড় করা অসম্ভব। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছে উর্মি ও তার পরিবার।
শবনম মেহার উর্মি যশোর শহরের রেলগেট এলাকার ইউনুস সাজুর মেয়ে ও ভাতুড়িয়া ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী। ইউনুস সাজু নড়াইল বিআরটিএ অফিসের একজন কর্মচারী।
ইউনুস সাজু জানান, তার মেয়ে শবনম মেহার উর্মি ২০২১ সালে যশোর এমএসটিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে ভাতুড়িয়া কলেছে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় কুইন্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাকে খুলনার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষা নীরিক্ষায় ধরা পড়ে উর্মির দু’টি কিডনিই বিকল। এখন উর্মি যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. এনামুল কবীরের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অসুস্থ উর্মি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়, ‘আমি কলেজে যেতে চাই। লেখাপড়া শিখে বড় হতে চাই। কিন্তু আমার সে স্বপ্ন মুছে যেতে বসেছে। কিডনি প্রতিস্থাপন না হলে আমি বাঁচবো না। এ জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। আমার চিকিৎসা করার সামর্থ্য আমার পরিবারের নেই। এ জন্য আমার মা সমতূল্য গোটা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবং পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ আমাকে আপনাদের সন্তান মনে করে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করুন।’
কুইন্স হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবির কবু জানান, মেয়েটিকে প্রথমে কুইন্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়। এখন মেয়েটির কিডনি প্রতিস্থাপন দরকার। কিন্তু এই চিকিৎসার সামর্থ্য তার পরিবারের নেই।
উর্মির বাবা ইউনুস সাজু আরও জানান, চিকিৎসক তাদেরকে জানিয়েছেন, উর্মিকে বাঁচাতে দ্রুত তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা জরুরি। এ জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন। তিনি ছোট্ট একটি চাকরি করেন। এর বাইরে তার সহায় সম্পদও নেই। তাই বিত্তবানদের সহযোগিতা ছাড়া মেয়েকে বাঁচানোর কোনো উপায় দেখছেন না তিনি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Pakhi Sarker ২৭ মার্চ, ২০২২, ১১:৩৯ এএম says : 0
Ami Dibo Kidni
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন