বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজ সারা দেশের সব মহানগর গুলোতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ চলছে, আজ সারা বাংলাদেশের মানুষের জীবন নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। এই সরকার ১০টাকা করে চাল খাওয়াবে বলে সাধারন মানুষকে বলেছিল। এভাবে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের না কমিয়ে দাম বার বার বাড়িয়ে চলছে। এই সরকারের লুঠপাটের কারনে আজ দ্রবমূল্য এর উর্ধ্বগতি। ধনিরা ধনি হচ্ছে, গরীবরা গরীব হচ্ছে কারন সরকার জনগনের দ্বারা নির্বাচিত নয়। বেগম খালেদা জিয়ার তত্তাবধায়ক ব্যবস্থা রেখেছিলেন আওয়ামী লীগ তা বাতিল করেছে, এখন আর নির্বাচনের দরকার হয় না। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট আগের দিন রাতে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্র কে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে আর এদেশ কে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখে না। তারা ব্যাংক লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। এই সরকার হাইব্রিড সরকার। এরা একটি সিন্ডিকেট করেছে। এই সিন্ডিকেট করে দেশে লুঠপাট করছে। যে দেশে গনতন্ত্র থাকে না সেই দেশে মানবাধিকার থাকে না। তিনি গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে বলেন তা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আইনের শাসন নেই। যার কারনে সরকারের একটি প্রতিষ্টানেকে নিশেধাক্ষা আরোপ করেছে, তা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তিনি বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের বিএনপি ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনা করে বক্তব্য রাখেন। বিচার বিভাগ ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেন। জিয়াউর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তনের মাধ্যমে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্টিত করেছিলেন। আওয়ামী গণতন্ত্র কে হত্যা করেছে, আওয়ামী লীগ ও গণগন্ত এক সাথে যায় না। আওয়ামী লীগ থাকলে গনতন্ত্র প্রতিষ্টা হবেনা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিবেনা, তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিবেনা তাই আওয়ামী লীগ হঠাতে হবে। দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতায় ভিতরে না আনতে পারলে ব্যর্থতার দ্বায়ভার নিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কে পদত্যাগ করতে আহবান জানান। এ সময় তিনি হজরত শাহজালাল ও শাহ পরান (রঃ), মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, এম ইলিয়াস আলী সহ কৃতি সন্তানের পূণ্যভূমিতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সকল কর্মসূচী সফল করার আহবান জানান। সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী'র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ডঃ এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন জীবন, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কৃষকদলের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, ফরহাদ চৌধুরী শামিম, এড হাবিবুর রহমান হাবিব, এড রোকসানা বেগম শাহনাজ, আহবায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ুন আহমদ মাসুক, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, কৃষকদলের সদস্য সচিব হাবিব আহমদ, ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ প্রমখ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন