বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক ও পেশাগত বিশেষায়িত কারিগরি প্রশিক্ষন বিস্তৃতিকরণ বিষয়ে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
সূত্র মতে, বাংলাদেশে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, দৈহিক স্থুলতা, পিসিওএস, হাড়ক্ষয়, ভিটামিন ডি-ক্যালসিয়াম, প্রজনন সমস্যাসহ হরমোন ও মেটাবলিক রোগের কয়েক কোটি রোগী রয়েছে। কিন্তু এসব রোগীদের বিশেষজ্ঞ সেবাদানের পরিপূর্ণ কাঠামো তৈরি সময় সাপেক্ষ এবং বিপুল অর্থ-সম্পদ বিনিয়োগের প্রয়োজন। যা এন্ডোক্রাইন সোসাইটির পক্ষে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। দেশে মোট ১৭৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবাদান করছেন। অসংখ্য রোগীকে অন্য আরও অনেক রোগের মতই ডায়াবেটিস/ থাইরয়েডজনিতসহ হরমোন রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সদ্য পাশকরা জুনিয়র চিকিৎসক ও জেনারেল প্র্যাক্টিশনাররা। এসব জুনিয়র চিকিৎসক ও জেনারেল প্র্যাক্টিশনারদেরকে এসব রোগের বিজ্ঞানভিত্তিক ও পেশাগত বিশেষায়িত কারিগরি প্রশিক্ষন দেয়া যায়, তবে অতি দ্রুত সারা দেশের এ সকল রোগের রোগীদের চিকিৎসার গুনগতমান বৃদ্ধি পাবে। আর সে লক্ষ্যেই দেশের চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান সংগঠন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাথে হরমোন মেটাবলিক রোগের বিশেষজ্ঞদের সংগঠন, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস) সমঝোতা করেছে। সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির পক্ষে সাধারন সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিম এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন’র পক্ষে মহাসচিব প্রফেসর ডা. এহতেসামুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ডা. এসএম আশরাফুজ্জামান, বিএমএ ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি (ইলেক্ট) প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ডা. ফারিয়া আফসানা, ডা. মারুফা মুস্তারীসহ অনান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, এ সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এটি অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনগুলোর দৃষ্টান্ত হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন