স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে : নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান বিরোধী দলীয় হওয়ার সুযোগে তিনি নিজেই একক সিদ্ধান্তে কাজ করছেন। পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া তিনি উপজেলা পরিষদের ১৭টি মুল্যবান মেহগনি ও জাম গাছ কেটে আত্মসাৎ করেছেন। উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে থেকে গাছগুলো কেটে রাতের আধারে গাছের গুড়ি ও মূল মাটির নিচ থেকে উঠিয়ে সরিয়ে ফেলেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য গাছের জায়গাগুলোর উপর সিসি ঢালাই করে দিয়েছেন। আর এ নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত এলাকায় চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয়ে তিনি উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের গাছ কেটে অর্ধেক প্রায় পুকুর ভরাট করে ফেলেছেন। উপজেলা পরিষদের বাতিল প্রায় মিলনায়তনে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া ৮টি এসি লাগিয়েছেন। এই এসিসমূহের টাকা তিনি দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে চাঁদা তুলে তিনি এসব এসি নিজেই ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। এই এসির জন্য কত টাকা আদায় করেছেন এবং কত টাকা ব্যায় করেছেন তার কোন হিসেব নেই। উপজেলা পরিষদের কেউই এর হিসেব সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারেনি।
অত্যন্ত বিলাসপ্রিয় এ নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারী নিয়ম ভঙ্গ করে তার অফিস কক্ষটিকে ডিসি, বিভাগীয় কমিশনার এমনকি মন্ত্রীদের অফিসের চেয়েও বিলাসবহুল সাজে সজ্জিত করেছেন। দামী কাষ্ঠাসন, দামী আলমিরা, দামী সোফা, দামী দামী চেয়ার দিয়ে সাজিয়ে এরউপর দামী এসি লাগিয়ে তার অফিস কক্ষটিকে একটি রাজকীয় অফিসে পরিণত করেছেন। প্রকল্পগুলোর প্রাক্কলন তৈরীতে দুর্নীতি করা হয়েছে। অতিরিক্ত আইটেম সংযোজন করে টাকার অংক বাড়িয়ে সরকারি টাকা অপচয় করা হয়েছে।
অপর একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ রাত ১০টা পর্যন্ত অবাঞ্ছিতদেরকে নিয়ে অফিসে আড্ডা জমিয়ে রাখতেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গত মাসখানেক যাবত তিনি দুপুরের পর আর অফিস করছেন না। এতে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমে বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন