আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী থেকে : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নি¤œচাপের কারণে হাটহাজারীতে গত তিন দিন ধরে হালকা, মাঝারী ও ভারী বর্ষন অব্যহত রয়েছে। বৃষ্টির সাথে মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় গ্রামীণ জনপদের সড়কগুলো পিচ্ছিল চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়কের মির্জাপুর এলাকায় সড়কের দুপাশ উঁচু নিচু সমান করতে মাটি ভরাট করার কারণে জন ও গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত দুই দিনে মহাসড়কের চারিয়া, মুহুরীহাট, বটতল, কালীদাশ চেীধুরীহাট, বাকর আলী চেীধুরীহাট, জগন্নাথ বাড়ি রাস্থার মাথা, কুমারিকুল রাস্তার মাথা মাটি ভরাটের কারণে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া মহাসড়কের হাটহাজারী বাসস্টেশন এলাকা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হয়ে জন চলাচলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। বৃষ্টির কারণে উপজেলার আওতাধীন অপেক্ষাকৃত উচু এলাকা যথাক্রমে মন্দাকিনী, পশ্চিম ফরহাদাবাদ, পশ্চিম ধলই, পশ্চিম এনায়েত পুর, হাশিম নগর, পশ্চিম মির্জাপুর, ওবাইদুল্লাহ নগর, আর্দশ গ্রাম, পশ্চিম চারিয়া, মাহামুদাবাদ, পৌরসভার আলমপুর, চন্দ্রপুর, দেওয়ান নগর, ফতেপুরসহ প্রভৃতি এলাকায় পাকা আমন ধান মাটিতে লুঠিয়ে পড়েছে। অন্যন্যা এলাকায় ফুল আসা ধান মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে উপজেলার যেসব এলাকায় মৌসুমি তরিতরকারি আবাদের জন্য রোপন করা হয়েছে সেখানেও পানি জমে ব্যপক ক্ষতি সাধীত হতে পরে বলে চাষিরা গনমাধ্যমকে জানান। বিদ্যুৎ এর বার বার যাওয়া-আসার কারণে হঠাৎ করে ভোল্টেটেজ বেশি হয়ে পড়ায় পৌরসভার মীরেরখীল, চন্দ্রপুর এলাকার অন্তত ১০টি পরিবারের টিভি ফ্রিজ বৈদ্যুৎতিক ভাল্ব এবং বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ সরঞ্জাম গত শনিবার দিবাগত রাতে নষ্ট হয়ে গেছে বলে ভূক্তভোগীদের পারিবারি সূত্রে জানা গেছে। বর্ষন অব্যহত থাকলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান বাড়তে পারে বলে স্থানীয় সচেতন মহল ধারণা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন