কুষ্টিয়া হরিপুরে ২ নং ওয়ার্ডে নদীর কূলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশীল নেতা মিলন মন্ডল অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীর কুলের রাস্তা, বাঁধ, ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, জিকে ড্রেজার দিয়ে নদী তীরবর্তী পাহাড় সমান বালু দিয়ে উঁচু করে রেখেছে। সেই সুযোগে প্রায় ২ বছর মিলন মন্ডল অবাধে এক্সভেটর মেশিন দিয়ে বালু কেটে ডাম্পার ট্রাকে ও ট্রলিতে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বালুর ঘাটে ডাম্পার ট্রাক, ট্রাক্টর, টলির সারিবদ্ধভাবে আনা-নেওয়ার লম্বা লাইন দেখে যে কারো মনে হবে যেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে। বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও ধসের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোনো সময় নদীর ধারের রাস্তা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে হরিপুরবাসী।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, সারা দিন-রাত বড় বড় ডাম্পার ট্রাকে ও অবৈধ ট্রলিতে বালু পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো ধসে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আবার বালু তোলার কারণে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ঘর হুমকির মুখে।
তারা আরো বলেন, অবৈধ অনেক বালু ঘাট পরিচালনকারীদের বিরুদ্ধে পুুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও মিলন মন্ডলের বালুর ঘাটের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে বালু তুলতে থাকলে আগামী ১ বছরের মধ্যে নদীর পাশের ফসলি জমি, ভিটে ও বাড়িঘর, রাস্তা ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। প্রতিদিন হরিপুর থেকে শতশত বালুর ভর্তি বড় বড় ডাম্পার ট্রাক ও টলি প্রতিদিন শেখ রাসেল সেতুর উপর দিয়ে আসার কারণে সেতুর দুই ধারে বালুর স্তর জমার কারণে ব্রীজের উপর যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে এবং বালু ভর্তি ডাম্পাম ট্রাক ও টলির বেপরোয়া চলাচলের কারণে শহরে দুর্ঘটনা ও প্রানহানির আশঙ্কা করছে কুষ্টিয়ার সচেতন মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন