পারিবারিক কলহের জেরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে গতকাল বুধবার সকালে ইলিয়াস হোসেন নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ইলিয়াস হোসেন একই উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শেয়ার বাড়ির খলিলুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৪ বছর পূর্বে উপজেলার জোড্ডা গ্রামের আলা উদ্দিন মিয়াজীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আনোয়ারা আক্তার কল্পনার সাথে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ট্রাক্টর চালক ইলিয়াস হোসেনের বিবাহ হয়। তাদের ৩ বছরের আল আমিন নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে নানাহ অযুহাতে অধিকাংশ সময়েই স্ত্রী কল্পনা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করতো। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ চলে আসছে।
গত ১০ দিন পূর্বে কল্পনার ভাইয়ের বিয়েতে স্বামী ইলিয়াস ও তার পরিবারের লোকদের দাওয়াত দিতে গেলে বৌ দেয়ার শর্তে তারা সবাই বিয়েতে আসেন। পরে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও কল্পনা তার শ্বশুর বাড়িতে না যাওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী, তার ভাই, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় শ্বশুর বাড়ির লোকদের হুমকিতে ভয়ে তার মাকে ফোন করেন ইলিয়াস। ফোন রিসির্ভ করে তার মা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে দেখে ইলিয়াসের শ্বাশুড়ির সাথে কথা বলে বৌ দিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান। এর পর থেকে তার মা অনেক বার কথা বলার চেষ্টা করলেও ফোনে সংযোগ পায়নি। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে ইলিয়াসের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার আত্মীয়দের ফোন করে ইলিয়াস বিষপান করেছে বলে জানিয়ে নাঙ্গলকোট আসতে বলেন। পরে ইলিয়াসের পরিবারের লোকজন আসার পূর্বেই তাদের জানানো হয় ইলিয়াসের লাশ নাঙ্গলকোট থানায় রয়েছে।
ইলিয়াসের মা হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলের বৌ কল্পনা, তার ভাই নিশাত, আমার ছেলের শ্বশুর আলা উদ্দিন ও তার শ্বাশুড়ি তাকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে এখন আত্মহত্যা করেছে বলে অপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
নাঙ্গলকোট থানা উপ পরিদর্শক সাধন চন্দ্র বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন