রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

এরশাদ যখন রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দেন, তখনও চালের কেজি ৮-১০ টাকা ছিল : চুন্নু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ৭:২২ পিএম

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দেন তখনও প্রতি কেজি চালের দাম ৮-১০ টাকা ছিল উল্লেখ করে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, যদি দ্রব্যমূল্য না কমে, বিদেশে অর্থপাচার বন্ধ না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি এই যে তিন বছর পর রাস্তায় নেমেছে আর ফিরে যাবে না। আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে কাকরাইল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি। এতে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেনি। চুন্নু বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কঠিন সময় পার করছে, যখন দেশে দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সংসার চালাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদের সবার কর্মসংস্থান হয়নি। সব মিলিয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা অন্তত ৫ কোটি। এমন বাস্তবতায় যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে তাতে মনে হয় দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই।

সরকার মানুষের কষ্ট বোঝে না দাবি করে চুন্নু বলেন, মানুষের মনের ভাষা বোঝে না। ধনী আরও ধনী হচ্ছে। আর দেশের বেশির ভাগ মানুষ দিন দিন আরও গরীব হচ্ছে। মানুষের আয় নেই কিন্তু ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুন। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যারা সরকারি দল করে তারাই শুধু ভালো আছে, আর যারা দল করে না সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের বাজার করতে পারছে না, প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছে না। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছে না। শুধু অর্থের অভাবে অনেক সন্তান তার পিতা-মাতার খোঁজ নিতে পারে না।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দেন তখন প্রতি কেজি চালের দাম ৮-১০ টাকা ছিল দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, গত ৩১ বছরে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়ে বর্তমানে ৬০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পল্লীবন্ধুর সময় যে সয়াবিন তেল ২০-২৫ টাকা লিটার বিক্রি হয়েছে, এখন তা ১৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার পেট্রোলের দাম ছিল ৭-১০ টাকা লিটার, এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত তিন বছরের মূল্য বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যে সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ছিল ১০৪ টাকা তার বর্তমান মূল্য ১৮০ টাকা। এভাবে চার বছরে প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, আটা ২৮ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা, মসুর ডাল ৫৫ থেকে বেড়ে ১০৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন