স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ভিস্যুয়েলি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস)। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর একটি বেসরকারী কনফারেন্স হলে ‘স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে ও জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এ দাবি করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে এবং এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমা আরা বেগম পপি বিষয় বস্তুর উপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইটসেভার্সের এ্যাডভোকেসী ও কম্যুনিকেশন কোঅর্ডিনেটর জনাব আলীম বারি। এতে অর্থায়ন করে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও সাইটসেভার্স।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব কবি কাজী রোজী। সম্মানিত অতিথি জনাব কামরুল হাসান, যুগ্ম-সচিব, দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয় বক্তব্য রাখেন। সর্বপরি উপস্থিত সকলে এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকৃর্ষণ এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভিপসের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন সহ স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে এবং জাতীয় সংসদে আনুপাতিক হারে আসন সংরক্ষণ করা সহ কয়েকটি দাবীসমূহ উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে- প্রতিবন্ধী নাগরিকের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সকল কমিটি ও সকল স্তরে কোটা সংরক্ষণ করা। রাজনৈতিক দল সমূহের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্তির শর্ত আরোপ করতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য একীভূত নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করা; যেমন- ভোটকেন্দ্রে প্রবেশগম্যতা, ভোটদান কক্ষটি প্রশস্ত হবে এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ধরণ অনুযায়ী সহায়তাকারীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে পোষ্টাল ভোটিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রচারিত জনসচেতনতামূলক প্রচারণা ও নির্দেশনা শ্রবণ ও বাক, দৃষ্টি এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভোটারসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উপযোগী (অডিও, ভিডিও, ব্রেইল ও ইশারা ভাষা) হতে হবে। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে টকিং, অডিও, ও হেড-ফোনের মাধ্যমে পরিচালনার সুযোগ রাখতে হবে। স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কোটা সংরক্ষণ করা। জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আনুপাতিক হারে আসন সংরক্ষণ করতে হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য অন্তত ৪টি আসন বরাদ্দ রাখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন