দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীতে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে মোবাইল ফোন সেট ছিনতাই করতে ওঁৎ পেতে থাকতো একটি চক্র। চক্রটি গত চার মাসে গাবতলী, কল্যাণপুর, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথচারী, যাত্রী ও নিরীহ মানুষের কাছ থেকে চারশতাধিক মোবাইল ফোন সেট ছিনতাই করেছে। তবে ওই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) মেজর জুলকার নায়েন প্রিন্স। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার ছিনতাইকারীরা হলেন-মো. জাহাঙ্গীর, সাজু মন্ডল ওরফে সাহাজুল, জাকির হোসেন, রাসেল ওরফে মিঠু ও মোক্তার হোসেন। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ৪৫৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েডসহ বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার ৯৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) মেজর জুলকার নায়েন প্রিন্স বলেন, ২২ জানুয়ারি এক অভিযানে ছিনতাই চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধারাবাহিক অভিযানে গত বৃহস্পতিবার এই চক্রের আরও ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, চক্রটি শুধু মোবাইল ছিনতাই করে তা নয়, অনেক সময় পথচারীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। এছাড়া তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পকেটমার করে থাকে। তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন থানায় চক্রের সদস্য সাজু মন্ডলের নামে তিনটি মামলা রাসেলের নামে দুটি ও মোক্তার হোসেনের নামে দুটি মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তারা এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করেছে বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়। তবে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে তারা পুনরায় একই কাজে লিপ্ত হয়। চোরাই মোবাইল ফোন কোথায় ও কাদের কাছে বিক্রি করতো জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ছিনতাই করা মোবাইল ফোন সেটগুলো চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন মোবাইল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। কারণ দেখা গেছে, অনেক নতুন মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে তারা। যা ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে, অধিক দামে বিক্রি করছে। তিনি বলেন, রাজধানীর গাবতলী, কল্যানপুর, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ী এবং কাঁচপুর ব্রীজ, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা হতে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে আসছে বলে জানায়। ছিনতাই করা মোবাইল ফোনগুলো তারা নিজেদের কাছে রেখে দিত এবং সুযোগ বুঝে তা বিক্রি করত বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন