কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেছেন, 'বাংলাদেশই হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বাংলাদেশের দুঃখে দুঃখী হওয়া, বাংলাদেশের সুখে সুখী হওয়াই আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ১৯৭১ সালে যারা দেশ মাতৃকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তাদের প্রত্যাখ্যান করা, ঘৃণা করাই হলো মুক্তিযুদ্ধের আসল চেতনা।'
তিনি আরো বলেন, এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে। এতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
শনিবার (০৫ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জেলা পরিষদ আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবস্তী রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমদ মোস্তাক।
জেলা পরিষদের সদস্য মাহমুদুল করিম মাদুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, সদর অ্যাসিল্যান্ড জিল্লুর রহমান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের, জেলা পরিষদ সদস্য কমল উদ্দিন, শামসুল আলম মন্ডল, আসমাউল হুসনা ও নুরুল হক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, 'অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
এসময় জেলা পরিষদের সদস্য আশরাফ জাহান কাজল, তাহমিনা চৌধুরী লুনাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন