যশোর মেডিক্যাল কলেজে ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অবরোধে পরিণত হয়। গতকাল শনিবার এই অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করে। ঘণ্টাব্যাপী এই অবরোধ কর্মসূচি থেকে দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে হরতালসহ যশোর অচল করে দেয়ার কর্মসূচি আহ্বানের ঘোষণা দেন।
যশোর মেডিক্যাল কলেজে ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের মেডিকেল কলেজ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সহস্রাধিক মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। অবস্থান কর্মসূচি একপর্যায়ে মহাসড়ক অবরোধে পরিণত হয়। শত শত মানুষ অবরোধ করে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক বন্ধ করে দেন।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সড়ক অবরোধ করে ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে বক্তব্য রাখেন, কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, যশোর আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি আব্দুল লতিফ, জেলা জাসদ’র সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়, জনউদ্যোগ সভাপতি প্রকৌশলী নাজির আহমেদ, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতা ইকবাল কবির জাহিদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু। কর্মসূচিতে উদীচী যশোর, বিবর্তন যশোর, শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন যশোরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, শংকরপুরের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ তাদের ৩ ফসলি জমি দান করেন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য; কারণ কলেজ হলে হাসপাতাল হবে; হাসপাতাল হলে এলাকার মানুষ উন্নত চিকিৎসা অল্প খরচে পাবে। বহু আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ মেডিকেল কলেজ হলেও তা পূর্ণাঙ্গ হয়নি এক দশকেও। দীর্ঘ ১০ বছরেও এ মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল স্থাপন করা হয়নি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা না হলে প্রয়োজনে যশোরবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে হরতাল, অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে যশোরকে অচল করে দেবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কলেজটির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। পরবর্তীতে শহরের শংকরপুর এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে কলেজে চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন