শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বেনাপোল-পেট্রাপোলে শিগগিরই সীমান্ত হাট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ১০:১৫ পিএম

বাংলাদেশ ও ভারত প্রতিবেশী দেশ দুটি’র মধ্যে বাণিজ্য সহজ করার লক্ষ্যে বেনাপোল-পেট্রাপোলে শিগগিরই সীমান্ত-হাট চালু এবং ২৪ ঘন্টা সমন্বিত চেক পোস্ট (আইসিপি) কার্যক্রম নিশ্চিতে সম্মত হয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র একথা জানিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারিকালে বিধি-নিষেধের কারণে দীর্ঘদিন এই সীমান্ত-হাট বন্ধ রাখা হয় এবং বেনাপোল-পেট্রাপোল সারাক্ষণ আইসিপি কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গতকাল দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বার্ষিক বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পুনরায় এই সীমান্ত হাট চালু করার ও সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা বেনাপোল-পেট্রাপোল আইসিপি কার্যক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও ভারতীয় বাণিজ্য সচিব বি.ভি.আর. সুব্রামানিয়াম নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিগণ বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন।

আজ ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, বৈঠকে উভয় দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে- যাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহুমুখী যোগাযোগের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এতে আরো বলা হয় যে, রেলপথ অবকাঠামো ও বন্দর অবকাঠামোর উন্নয়ন, সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ)’র ওপর যৌথ গবেষণা, বহুমুখী পরিবহনের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ, সমন্বিত মান ও মিউচ্যুয়াল রিকোগনিশন এগ্রিমেন্টের ব্যাপারেও বৈঠকে আলোচনা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সুবিধার জন্য সিরাজগঞ্জ বাজারে কন্টেইনার ব্যবস্থাপনা সুবিধার জন্য একটি ডিটেইলড প্রোজেক্ট প্রোপোজাল (ডিপিপি)’র অনুমোদন এবং বহুমুখী পরিবহনের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদার করতেও সম্মত হয়েছে দুদেশ।

সভার আগে বাণিজ্যের ওপর দু’দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম ও অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি)’র ১৪তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জেডব্লিউজি ও বাণিজ্য সচিবগণের পরবর্তী বৈঠক বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বাংলাদেশের একটি সূত্র বাসসকে গতকাল সন্ধ্যায় জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের ওপর এন্টি-ডাম্পিং ডিউটি তুলে নেয়া ও বাণিজ্য বাধা দূর করাসহ কিছু ইস্যু তুলে ধরা হয় সভায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০১৭ সাল থেকে পাঁচ বছর ধরে ভারতের আরোপ করা এই এন্টি-ডাম্পিং ডিউটি তুলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। তিনি জানান, গত বছরের মার্চ মাসে ঢাকায় শেষ বাণিজ্য সচিব পর্যাযের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হলেও, এ ক্ষেত্রে কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

সরকারি সূত্রমতে, বিগদ সাত বছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যাণে দেখা গেছে যে- ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট বাণিজ্য পরিমাণ ছিল প্রায় ৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এই সময়ের মধ্যে ভারতে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার- যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সূত্র: বাসস

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন