শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লক্ষ্মীপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নারিকেল আবাদ

প্রতিবছর জেলায় প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ নারিকেল উৎপাদন হয়

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২২, ১২:০৩ এএম

লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে প্রায় ২০০ কোটি টাকার নারিকেল উৎপাদন হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ, রায়পুর, রামগতি, কমলনগরসহ প্রত্যেক উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নারিকেলের আবাদ। বাড়ির আঙ্গিনা, পতিত জমি ও কৃষি জমির পাশে নারিকেল গাছ লাগিয়ে বেশ লাভবান হচ্ছে জেলার চাষিরা। লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য মতে, জেলায় মোট ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে নারিকেল বাগান রয়েছে। প্রতিবছর এ জেলায় প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ নারিকেল উৎপাদন হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি। এ মৌসুমে একজোড়া নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

এখানকার উৎপাদিত নারিকেল সুস্বাদু ও তেলের গুণগতমান ভালো হওয়ায় এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপকূলীয় এ জেলায় নারিকেল ভিত্তিক শিল্প-কারখানা স্থাপিত হলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি গতিশীল হবে এ অঞ্চলের অর্থনীতি। জেলার বিভিন্ন বাজারে নারিকেল বেচাকেনা ও ছোবড়া বের করার কাজে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজারের নারিকেল ব্যবসায়ী শাহ আলম মাতবর জানান, তিনি ৪০ বছর ধরে নারিকেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় চাষিরাও ভালো দাম পেয়েছেন। এখানকার উৎপাদিত নারিকেলের গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় এর ব্যাপক চাহিদার রয়েছে। পাশাপাশি তেল কোম্পানিগুলো এখানকার নারিকেল সংগ্রহে আগ্রহ বেড়েছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন খাঁন বলেন, এ জেলায় প্রায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি নারিকেল উৎপাদন হয়। এখানকার মাটি নারিকেল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এ অঞ্চলে নারিকেল ভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে কৃষকরা যেমন লাভবান হতো, তেমনি গতিশীলতা পেতো এ অঞ্চলের অর্থনীতি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন