নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ৭ই মার্চ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, সম্মিলিতভাবে দাঁড়িয়ে ৭ই মার্চের ভাষণ শ্রবণ, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। সকাল ৯ টায় ৭ মার্চ ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির ক্রান্তিলগ্নে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রমনা রেসকোর্সে যে ভাষণ প্রদান করেন তা এক ঐতিহাসিক মহাকাব্য। একই সাথে পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েই বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে ততদিন এই ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ টিকে থাকবে। আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আজকের এ ঐতিহাসিক দিনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
অনুষ্ঠানসমূহে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল বাশার, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন