শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বিএমএ নির্বাচন : স্বাচিপই স্বাচিপের প্রতিদ্বদ্বী জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি

প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) নির্বাচন। দীর্ঘ চার বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে বিএনপি অনুসারী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সরে দাঁড়িয়েছে। ড্যাব সরে দাঁড়ানোর ফলে পেশাদার চিকিৎসকদের এ নির্বাচন অনেকটাই আকর্ষণহীন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিএমএর নবীন-প্রবীণ চিকিৎসক সদস্যরা। এদিকে ড্যাব নির্বাচনে না আসায় এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুসারী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মূল প্রতিদ্ব›দ্বী তারাই। জাসদসহ কিছু সংগঠন থেকে সভাপতি ও মহাসচিবসহ অন্যান্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলেও তাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে থাকায় স্বাচিপ চিকিৎসকদের মধ্যেই আসল লড়াই হবে। যদিও ড্যাব না থাকায় নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে সবাই নিজেকে প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে গত রোববার ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত না হলেও সভাপতি পদে স্বাচিপের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএমএর একাধিকবারের মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তার বিপরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও বামপন্থী রাজনীতির অনুসারী প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার এবং ফজলুর রহমান নামে এক চিকিৎসক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) প্যানেলে মহাসচিব প্রার্থীর ছড়াছড়ি। যে সকল চিকিৎসকের মহাসচিব পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের খবর পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে রয়েছেনÑ বর্তমান স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর ডা. এমএ আজিজ, বিএমএর সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বিএমএর সাবেক মহাসচিব ও বর্তমানে বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ডা. জাকারিয়া স্বপন, প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, খুলনা বিভাগের স্বাচিপ নেতা বাহার চৌধুরী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, ডা. আমিরুল হাসানসহ ডজনখানেকেরও বেশি প্রার্থী।
স্বাচিপের বাইরে জাসদ নেতা, এক সময়ের ডাকসুর জিএস ডা. মোসতাক হোসাইন মহাসচিব পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএমএর একাধিক সদস্য বলেন, নির্বাচন থেকে ড্যাব সরে দাঁড়ানোর ফলে স্বাচিপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে নির্বাচনে নেমেছেন। এক ডজনের বেশি মহাসচিব প্রার্থী ছাড়াও অন্যান্য পদে কয়েকজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে মনোয়নপত্র দাখিলকারীদের মধ্যে নবীনদের চেয়ে প্রবীণদের সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ১৯৮৮, ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে বিএমএর নির্বাচিত মহাসচিব ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৮ (লালবাগ) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিএমএ মহাসচিব ডা. আর্সলান জানান, আগামী ২২ ডিসেম্বরের এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় শেষ ছিল ৬ নভেম্বর। আর ২১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়।
জানা যায়, ২০১২ সালে বিএমএর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর বিএমএতে সারা দেশে ভোটার সংখ্যা ৩৬ হাজার ১৬৬ জন। ঢাকায় ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৭০৪ জন। বিএমএর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোট ৫১ জন। তন্মধ্যে ৪৮টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ৯টি পদের মধ্যে ছয়জন কো-অপট সদস্য, দু’জন বিএমএর সাবেক সভাপতি ও মহাসচিব (যদি তারা নির্বাচিত না হন) ও জার্নাল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে একজন নিয়োগ পান।
মহাসচিবসহ অন্যান্য পদে এতো প্রার্থীর ছড়াছড়ি প্রসঙ্গে স্বাচিপের একাধিক নেতার কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে কেউ বাধা দিতে পারবেন না, এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। ড্যাব যেহেতু অংশগ্রহণ করছে না, তাই নির্বাচনে নিজেরাই প্রতিদ্ব›দ্বী। এতে করে সদস্যরা নিজ নিজ জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন