নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতাসহ সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে জয়পুরহাট সদর কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখান্ত করেছেন। আদালতের নিয়ম রয়েছে, অভিযুক্ত কোন শিক্ষককে দুই মাসের বেশি সাসপেন্ড রাখা যাবে না । যদি কোনো কারণে বেশি সময় রাখা হয় তাহলে তবে তাকে পূর্ণ বেতন-ভাতা দিতে হবে। কিন্তু তিনি তা না করে সাসপেন্ড থাকা আশরাফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষককে দুই মাস পর স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর বিদ্যালয়ের সাবেক অবিভাবক ও দাতা সদস্য মো. আতিকুর রহমান অভিযোগ করেছেন। এতে প্রধান শিক্ষক ও ব্যাবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে ২৫ টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাবলিক পরিক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাক,বই ও বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয়ের নামে টাকা, শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব বোনাসের টাকা, বিদ্যালয়ের পুরনো গাছ বিক্রয়ের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের হয়রানির শিকার হয়েছেন গণিত শিক্ষক মো. মাসুদ রানা ও জীব বিজ্ঞান শিক্ষক জীবন নেছাসহ অনেকে। চুক্তিভিত্তিক আয়া রাবেয়া খাতুনের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নতুন করে আয়া নিয়োগ ও নিরাপত্তাকর্মীর সৃষ্টপদে প্রধান শিক্ষকের এক নিকট আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে কিছু অনিয়ম ও ভুলত্রুটি থাকতেই পারে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু মুনসুর আল সুমন বলেন, অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাকি থাকলে তা পরিশোধ করা হবে। জয়পুরহাট সদরের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার বণিক বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে রেজুলেশন খাতা মেইনটেইন ও নিয়োগপত্র প্রদানে বিধি অনুসরণ করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অপর দিকে গত ফেব্রুয়ারি ২২ তারিখে ৫৭৭৯ জ:প্র:নং এক স্মারকে জশাহী শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক ডক্টর শারমিন চৌধুরী, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন