সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ি অঞ্চলের ৩ উপজেলা ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী লটকন চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। নতুন গড়ে উঠেছে ২০টি লটকন বাগান। কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় লটকন চাষ বাড়ছে দিনকে দিন। বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছে ‘লটকন চাষ’। অনকেইে লাভের মুখ দেখছেন। আশানুরূপ ফলন হওয়ায় চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। ঝিনাইগাতী উপজলোর নলকুড়া ইউনয়িনরে ভারুয়া গ্রামের লটকন চাষি মো. হামিদুল্লাহ ১৪ বছর আগে বাগানে ১২০টি লটকন চারা রোপন করেন। ৮ বছর পরই ৩৫টি গাছে ফল দিতে শুরু করেছে। বছরে ৬০-৭০ হাজার টাকার লটকন বিক্রি করেন। লাভের মূখ দেখছনে তিনি। গ্রামেরই অপর চাষি আলাউদ্দিন ১০-১১ বছর আগে লটকন বাগান করে ২০০ গাছ রোপন করে ৫ বছর ধরে ৬০-৭০ গাছে লটকন ধরেছে। প্রতি বছর বাগান থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকা বিক্রি করছেন তিনি। অপর দিকে পাহাড়রে ঐতিহ্যবাহী লটকন এখন চোখে পড়ে না। লটকন ফল অত্যন্ত পুুষ্টিকর পাহাড়ি ফল। অম্লমধুর স্বাদের মুখরোচক ফল হিসেবে সবার কাছইে সমাদৃত। পাহাড়ে ইতোপূর্বে প্রচুর লটকন গাছ দেখা যেতো। কিন্তুু কালক্রমে ব্যাপক বৃক্ষ নিধনে লটকন গাছও রেহাই পায়নি বনখোকোদের হাত থেকে। ফলে হারিয়ে গেছে ঐতহ্যিবাহী লটকন গাছ। জানা যায়, লটকন গাছে শীতের শেষে ফুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট- সেপ্টেবর মাসে লটকন পাকে। প্রবীণ কৃষক ডা. আব্দুল বারী, ঝিনাইগাতী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যন ও কৃষক আমিনুল ইসলাম বাদশা, শালচুড়ার কৃষক মো. সরোয়ার্দী দুদু মণ্ডল এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষক, আইয়ুব আলী ফর্সা বলেন,দেশীয় ফলের চেয়ে লটকনের ফলন এবং বাজার মূল্য বেশি। তাই এই ফল চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাছাড়া লটকন চাষ যে কোন ধরণের জমিতে করে ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, উপজলোর কাংশা এবং নলকুড়া ইউনিয়নে ২০ টি লটকন বাগান গড়ে উঠেছে। চাষিদের কৃষি বিভাগ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে এ পর্যায়ে এনেছেন। পহাড়ি পুষ্টিকর ফল হিসিবে কৃৃষি বিভাগ লটকন চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে। তাই দিনকে দিন বাড়ছে লটকন চাষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন