যে কোন বয়সে চুল পড়া বর্তমানে খুব কমন একটা সমস্যা। এই ধরনের সমস্যা হলে আক্রান্ত ব্যক্তিটি নানা রকম মানসিক কষ্টের শিকার হন। তখন সে ব্যক্তির অসহায়ত্বের যেন আর শেষ থাকেনা। বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। হরমোনের সমস্যার কারণেও চুল পড়তে পারে এটা আমাদের অনেকের ধারনার মধ্যে নেই।
থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থিটি আমাদের গলার ঠিক সামনে থাকে এবং এটি থেকেই থাইরক্সিন হরমোন বের হয়। যখন এই হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বের হয় তখন তাকে হাইপোথাইরয়ডিজম বলা হয়। আর থাইরক্সিন হরমোন যদি খুব বেশি বের হয় তাহলে তাকে হাইপারথাইরয়ডিজম বলা হয়। এই হরমোনের তারতম্য যদি খুব কম বেশি হয় তাহলে চুল পড়ে যেতে পারে। এই চুল পড়া কোন একটা স্থানে সীমাবদ্ধ থাকবে না, সারা মাথার চুলই পড়ে হালকা হয়ে যাবে। হরমোনের তারতাম্য অনেকদিন স্থায়ী হলেই কেবল চুল পড়তে পারে। অল্প দিনের সমস্যায় এটি হবে না।
থাইরয়েডের হরমোন নি:সরন কমে গেলে আরো কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া, মাসিকের সমস্যা হওয়া, গলার স্বরে পরিবর্তন, চামড়ায় পরিবর্তন এবং ক্লান্তিভাব এসব হতে পারে। এছাড়া থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে ডিপ্রেশন হতে পারে।
আর যদি এই হরমোন খুব বেড়ে যায় তাহলে কিন্তু খুব বেশি ঘাম হয়। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতে পারে, বুক ধরফর কওে, অস্থির লাগে এবং গরম সহ্য হয় না। এছাড়া আরো ওজন কমে যাওয়া, চোখ কোটর থেকে বেড়িয়ে আসার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই এসব লক্ষন ও থাইরয়েড হরমোন নি:সরন জনিত কোন সমস্যা দেখা গেলে ডাক্তারকে জানাতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে হবে। হরমোনের চিকিৎসা করলে বিভিন্ন খারাপ উপসর্গের হাত থেকে অনেকটা বেঁচে থাকা সম্ভব হবে। থাইরয়েড হরমোন কমবেশি হলে চুল পড়তে পারে। তাই যদি হরমোন বেড়ে বা কমে গেলে যে লক্ষণগুলো দেখা যায় সেরকম হলে খুব দ্রুত একজন চিকিৎসকের সাথে বা হরমোন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করবেন এবং আপনি অবশ্যই সমাধান পাবেন। চিকিৎসা শুরু করলে সমস্যাটিও ধীরে ধীরে সমাধান হতে পার্।ে তবে নিরাসার কথা হল চুল ঘন হয়ে আগের অবস্থায় নাও আসতে পারে। আর হলেও সেটাতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন