শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

৭ই মার্চের ভাষণ মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা : হানিফ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২২, ১০:০১ পিএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেলে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মূল অনুপ্রেরণা ছিল বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ই মার্চের এই ঐতিহাসিক ভাষণটি। যেখানে তিনি বজ্রকন্ঠে উচ্চারণ করেছেন— ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ একইভাবে এই অমর বাণী ও ভাষণ পৃথিবীর সব নিপীড়িত ও শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্দীপিত করে। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক এ ভাষণ বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল একজন দক্ষ কৌশলীর সুনিপুণ বক্তব্য। ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ‘স্বাধীনতার’ কথা এমনভাবে উচ্চারণ করেন, যাতে ঘোষণার কিছু বাকিও থাকল না। আবার তার বিরুদ্ধে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করাও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জন্য সম্ভব ছিল না। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতারই ঘোষণা। তবে সরাসরি তা ঘোষণা না করে তিনি কৌশলের আশ্রয় নেন। তার অবস্থান ছিল- সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি সংখ্যালঘিষ্ঠ পশ্চিম পাকিস্তানি থেকে বিচ্ছিন্ন হবে কেন? বরং সংখ্যালঘিষ্ঠরাই বিচ্ছিন্ন হোক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন