শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

মলদোভার পথে হাদিসুরের লাশ, রোমানিয়ায় পৌঁছাবে রাতে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২২, ৫:৪০ পিএম

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের লাশ অবশেষে ইউক্রেন থেকে রোমানিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় মলদোভার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে লাশবাহী ফ্রিজারভ্যান। আজ দিনগত রাত ১২টায় এটি রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে।

দুপুর ২টায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসাইন।

তিনি বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অফিসিয়াল লোকজন না থাকার কারণে হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিলম্বিত হয়। মরদেহটি বৃহস্পতিবার ভোরে রোমানিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোমানিয়ান অথরিটি শেষমুহূর্তে হাদিসুরের পরিবারের সম্মতিপত্র চাওয়ায় যাত্রা বিলম্বিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ইমেইলে সম্মতিপত্র পাঠানো হয়। যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মলদোভার উদ্দেশে রওনা হয়।

জানা যায়, বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। অলভিয়া থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল।

এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি। পরে গত ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে অন্য ২৮ জনকে বৃহস্পতিবার জাহাজটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানায় বিএসসি।

এরপর হাদিসুরের লাশ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে বেরিয়ে মালদোভার পথে যাত্রা শুরু করেন ২৮ নাবিক।

পরদিন রোববার (৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তারা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মালদোভা হয়ে দুপুরের পর রোমানিয়া পৌঁছান। বুধবার ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন। তার মধ্যে ১২ নাবিক বুধবার রাতেই নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন