জয়পুরহাটে বিএনপি’র ২ গ্রুপে হামলা-পাল্টা হামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, যুবদলের এক নেতা গত বুধবার হিলি এলাকায় বিজিবি’র হাতে আটক হয়। এসময় তাকে বিজিবি সদস্যরা হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। এছবি বিএনপির একটি গ্রুপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে দেন। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের রেলগেট এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা অবস্থানের সময় ফেসবুকে ছবি পোষ্টের অভিযোগে অ্যাড. ফারুক হোসেনকে মারধর করে। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরে রাত ৯টার দিকে ফারুক হোসেনের অনুসারী ১০-১২ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থানকারী অপর গ্রুপের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। হামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের ৮ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজভি আহম্মেদ, যুবদল নেতা রাজীব আহম্মেদ, আইজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আহাদ হোসেন, সাগর চৌধূরী, সদর থানা ছাত্রদলের সদস্য মেহেদি হাসান ও জয়পুরহাট শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহরিয়ার কবীর তামীম। আশঙ্কাজনক রেজভি, আমিনুর ও মেহেদীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামসুল হক অভিযোগ করেন, দলের কোন পদে না থাকলেও বিএনপি অনুসারী বলে দাবি করা ফারুক, পাপন, আলিফ, বুলেট, রাব্বী, রিপনসহ ১২-১৪ সন্ত্রাসী বিএনপি কার্যালয়ের সামনে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাদের উপর দেশীয় ও ধারলো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ও অন্য নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থার অবনতি ঘটায় তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলাকারীদের নামে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ব্যাপারে মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন