কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতে সাপ্তাহিক ছুটিতে সমাগম ঘটেছে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের। নতুন বছরের সবচাইতে বেশি সংখ্যক পর্যটকের আগমনে তিল ধারনের ঠাই নাই সৈকতের জিরো পয়েন্টে। সৈকতে আগত এ সকল পর্যটকরা সাগরের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকেই প্রিয়জনদের সাথে সেল্ফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য।
সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, সৈকতের ঝাউবাগান, শুটকি পল্লী, লেম্বুর চর, বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লী ও ইলিশ পার্কসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে পর্যটকের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। পর্যটকের এমন ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল।
সৈকতের ছাতা ব্যবসায়ী মো. বেলাল খলিফা জানান, এতো পর্যটক এবছর কুয়াকাটায় আর দেখিনি, সারাবছর কুয়াকাটায় আজকের দিনের মতো এরকম পর্যটক থাকলে আমাদের ভালো হয়।
কুয়াকাটা সাউথ বেঙ্গল হোটেলের স্বত্তাধিকারী মো. নান্না মিয়া জানান, পর্যটকের ভীড়ে শনিবার পর্যন্ত আমার হোটেলের কোন রুম খালি নেই, সব অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে।
রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি মজিবর-সীমা জানান, আমরা প্রায় ২০ বছর যাবৎ কুয়াকাটায় প্রতিবছর একবার হলেও ঘুরতে আসি, এরকম পর্যটক আমাদের চোখে আর কখনো পড়েনি। তাই কুয়াকাটার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুতগতিতে আরো উন্নত করার অনুরোধ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার জানান, প্রতিনিয়তই কুয়াকাটা পর্যটক বাড়ছে, সমুদ্র সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত যানবহন ও পর্যটকের ভীড়ে রাস্তায় চলাফেরার কোন পরিবেশ নেই, তাই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ট্রাফিক পুলিশ স্থাপনের জোড় দাবি জানাই।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট জোনের সহকারি পুলিশ সুপার আ. খালেক বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে কয়াকাটায় এতো বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাবেশ ঘটেছে যা সামাল দেওয়া আমাদের জন্য একটু কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে, তবুও আমরা সকল পর্যটকের সবধরনের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন