রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পশ্চিমা ভ্যাকসিন নীতির তীব্র সমালোচনায় হ্যারি ও মেগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২২, ৬:০১ পিএম | আপডেট : ৬:০৮ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২২

প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল, অভিনেত্রী চার্লিজ থেরন এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন কোভিড-১৯ মহামারীতে ধনী দেশগুলির দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে ‘অনৈতিক, সম্প‚র্ণ আত্মঘাতি এবং সেইসাথে একটি নৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মহামারী সংক্রান্ত ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

তারা ১ শ’ ৩০ জন স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন, যারা শুক্রবার প্রকাশিত খোলা চিঠিটিতে দৃঢ়ভাবে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। স্বাক্ষরকারীরা সতর্ক করে বলেছেন যে, মহামারী শেষ হয়নি এবং যে বিশ্বকে টিকা দেওয়ার ব্যর্থতা আত্মঘাতি জাতীয়তাবাদ, ওষুধের একচেটিয়া ব্যবসা এবং বৈষম্যতে নেমে এসেছে। চিঠি অনুসারে, গত দু’বছরে আনুমানিক ২০ মিলিয়ন করোনা জনিত মৃত্যু এড়ানো যেত এবং যখন ধনী দেশগুলির নেতারা আত্মতুষ্টিকে মগ্ন, তখন বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ ভাইরাসের ঝুঁকি, গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর মুখোমুখি।

পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স দ্বারা সমন্বিত চিঠিটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক করোনাভাইরাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে প্রকাশিত হয়। এতে, মালাউইয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জয়েস বান্দা, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান এবং জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি-মুন সহ মোট ৪০টি দেশের প্রাক্তন এবং বর্তমান নেতারা স্বাক্ষর করেছেন, যাদের মধ্যে ইউনিলিভারের প্রধান পল পোলম্যান এবং ইজিজেটের জোহান লুন্ডগ্রেনের মতো শীর্ষ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি, নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, মানবতাবাদী এবং ধর্মীয় নেতারাও রয়েছেন।

জয়েস বান্দা বলেছেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই: এই মহামারীটি আফ্রিকা এবং সারা বিশ্বে এখনো শেষ হয়নি। আমরা এড়ানো যায় প্রতিদিন এমন হাজার হাজার মৃত্যু দেখছি।’ চিঠিটিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ভ্যাকসিন, চিকিৎসা এবং পরীক্ষার পরবর্তী পর্যায়ে তহবিল দেওয়ার জন্য এবং বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষাম‚লক সরঞ্জাম সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত মেধা সম্পদ আইন তুলে নেয়ার বিষয়ে বাধা অব্যাহত রাখার জন্য চিঠিতে ইউকে তথা যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন(ইইউ) এবং সুইজারল্যান্ডের নাম আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে, যা কোভিড প্রতিক্রিয়ায় ভ্যাকসিনের পুনর্বণ্টন এবং বিস্তৃত বিতরণ সক্ষম করতে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন ভ্যাকসিনের সরবরাহ, বন্টন এবং মূল্য নির্ধারণ এবং কাদের বাচানো হবে এবং কারা মরবে, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ধরে রেখেছে। গত বছর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে যে, যে ছয়টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, তারা মেধা সম্পদ আইন তুলে নিতে, ভ্যাকসিন প্রযুক্তি শেয়ার করতে এবং বৈশ্বিক ভ্যাকসিন সরবরাহ বাড়াতে তাদের অস্বীকৃতি উল্লেখ করে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সঙ্কটে ইন্ধন জোগাচ্ছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন