স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমরা অনেক জঙ্গী গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আবার অনেকেই আদালত থেকে জামিনে বের হয়েছে। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে সবাই একসঙ্গে কাজ করছে। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বুকে লালন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। দেশও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সেই স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছাতে চাই। তবে আমি বলব না যে আমরা এখনই সেই জায়গাতে পৌঁছে গেছি।
তিনি বলেন, আমরা একের পর এক দৃশ্য দেখেছি। ইতালির নাগরিক ট্রাভেল সিজার, জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও হত্যাকা- দেখেছি। খ্রীষ্টান ধর্মযাজককে হত্যা প্রচেষ্টা দেখেছি, মসজিদের মধ্যে বোমা হামলা দেখেছি। এই যে জঙ্গির উত্থান হয়েছিল, কারা করেছে, আমরা কিন্তু তা জাতির সামনে তুলে ধরেছি। র্যাব-পুলিশসহ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সব ইউনিট তাদের সবার নিজ অবস্থান থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদেশের মানুষকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেশের ছাত্র-শিক্ষক, যুব সমাজ, ইমাম, পুরোহিত বুদ্ধিজীবীসহ সবাই প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দেশে জঙ্গিবাদের মোকাবিলা করেছি। এই আহ্বানে মা তার জঙ্গি ছেলেকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। রাজধানী ঢাকা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আজ আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছি।
তবে জঙ্গিবাদের মূল শতভাগ উৎপাটন করা যায়নি। সেখানে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মে মানুষ হত্যা করতে বলেনি। তাছাড়া কোনো ধর্মেই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের স্থান নেই। জঙ্গিবাদে আমরা যেখানে যার সম্পৃক্ততা পেয়েছি, তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কারণ আমাদের দেশের মানুষ কখনোই জঙ্গিদের পছন্দ করে না।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ বলে কোনো ভেদাভেদ ছিল না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবার রক্তে রঞ্জিত এই বাংলাদেশ। সবাই মিলেই দেশকে স্বাধীন করেছি। এখানে ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ নেই। যুদ্ধের সময়ও কোনো ভেদাভেদ ছিল না, এখনো নেই। কাজে কেউ এসে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশকে বিলুপ্ত করে দেবে, সেই সুযোগ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন