পাবনা জেলা ও ঈশ্বরদী উপজেলা সংবাদদাতা : পাবনায় দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাওয়ানোর পর মা পাপিয়া সুলতানা (৩০) আত্মহত্যা করেছেন। ১৩ মাস বয়সের শিশুসন্তান জীবন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আরেক শিশু ইমনের অবস্থাও আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে জেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের বহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর উপর অভিমান করে পাপিয়া সুলতানা নিজ শিশু সন্তানকে বিষ খাওয়ানোর পর নিজেও খেয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ এই ঘটনায় পাপিয়া সুলতানার স্বামী মিজানুর রহমানকে আটক করেছে।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আশিকুর রহমান সাগর সাংবাদিকদের জানান, বিষপানে পাপিয়া সুলতানা ও তার শিশুসন্তান জীবন (১৩ মাস) ও ইমন (৪) শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাপিয়া ও তার ছেলে জীবন মারা যায়। অবস্থার অবনতি হলে ইমনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ২ জনই বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বিমান কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শুক্রবার রাতে বহরপুর গ্রামের এনজিও কর্মী মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুনের ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে স্বামীর উপর অভিমান করে স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা তার দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষপান করেন। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাদের ৩ জনকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে দশটার দিকে মা পাপিয়া ও এক ছেলে জীবন মারা যায়। অন্য ছেলে ইমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দিলরুবা সিদ্দিকা জানিয়েছেন, বিষ ক্রিয়ার ধরনে তার মনে হয়েছে, মাছ মারার জন্য পুকুরে বা জলাশয়ে যে বিষ প্রয়োগ করা হয় এই বিষ সেই জাতীয় বিষ।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন