খলিলুর রহমান : সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ। গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১১টার সময় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে একমাত্র অভিযুক্ত করে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এদিকে, বখাটে বদরুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করায় খাদিজা আক্তার নাগির্সের পরিবারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এতো দিন থেকে আদালতে চার্জশিট দাখিল না করায় তারা অনেকটা হতাশার মধ্যে ছিলেন। শুধু খাদিজার পরিবারেই নয় পুরো সিলেটবাসীর মধ্যেও স্বস্তি এসেছে।
গতকাল খাদিজার বাবা মাসুম মিয়া বলেন, আমি ঢাকায় আছি। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এতে আমাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি বদরুলের সর্বোচ্চ শান্তি দাবিও করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এদিকে, খাদিজা আক্তার নার্গিস এখনো ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তার কয়েক দফা অপারেশন করা হয়েছে। আরো কয়েক দফা অপারেশন করা লাগবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সর্বশেষ গত সোমবার খাদিজার বাম হাতে ও মাথায় অপারেশন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা মাসুক মিয়া।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর খাদিজার ডান হাতের অপারেশন করেছিলেন চিকিৎসকরা। সফল অপারেশনের পর ১৮ অক্টোবর সকালে চিকিৎসকরা তাকে প্রথম প্রোটিন খাওয়ান। এরপর ২০ অক্টোবর খাদিজা তার মাকে ‘আম্মা’ বলে ডাকেন। ‘আম্মা’ ডাকার পর ২২ অক্টোবর তাকে জমজমের পানি পান করানো হয় এবং সেই দিন থেকে তাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালে ঘুরানো শুরু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন