রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হাইকোর্টের রায়কে অগ্রাহ্য করে ইট পোড়াচ্ছে হামজা ব্রিকস্

কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২২, ১০:৩২ এএম

উচ্চ আদালতের আদেশকে অগ্রাহ্য করে কেশবপুরের গৌরিঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটিতে অবৈধ হামজা ব্রিকস্ চলছে ইট তৈরি ও প্রস্তুতির কাজ।

হাইকোর্টের রায় এবং প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশকে পাশ কাটিয়ে বহাল তবিয়তে ভাটায় ইট পুড়ানো কাজ করছেন হামজা ব্রিকসের মালিক হুমায়ুন কবির বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানাযায়,ডুমুরিয়া উপজেলার চহেড়া গ্রামের ফকির চাঁদ বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস ২০১২ সালে তার ৪৭ শতক পৈতৃক জমি একই উপজেলার শাহপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে শাকিল আমিনকে মেসার্স জাকির ব্রিকস্ করার জন্য (ডিড) চুক্তি পত্র করে দেন। শাকিল আমিন ব্রিকসটি (ভাটা)টি পরিচালনায় ব্যার্থ হলে ওই ডিড বুনিয়াদে বেতাগী উপজেলার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে ইমদাদুল হক, সোহেল ও রাজাপুর উপজেলার পালট গ্রামের মৃত শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে মারুফ হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় তারা "এমটিসিবি" নাম করন করে ভাটা চালু করেন। এসময় তারাও এমটিবিসি ভাটা পরিচালনা করতে ব্যার্থ হয়। ২০১৬ সালে কেশবপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের অসিম কুমার দে শিমুল এর নিকট ভাটাটি হস্তান্তর করে দেয়। এ সময় অসিম কুমার দে শিমুল বিশ্বাসকে ষড়যন্ত্র করে মালিকানা অংশ থেকে বাদ দিয়ে অসিম কুমার দে এর নামে একক ভাবে ভুয়া মালিকানা করে নেন।

২০১৯ সালে ওই ভাটাটি খুলনা খালিশপুরে রশিদ মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবিরের নিকট পূর্বের চুক্তিপত্র অন্যুায়ী তারা হস্তান্তর করেন। হুমায়ুন কবির ভাটাটি "এমটিবিসি" নাম বাদ দিয়ে বর্তমানে হামজা ব্রিকস নামে অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনা করছেন। যার মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হয়ে গেছে। স¤প্রতি শিমুল বিশ্বাস তার নামের জমি দখল পাইবার জন্য আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত তার পক্ষে ন্যায় বিচার করে রায় প্রদান করেন। যার নং-৮০২৭/২০২০। আদালতের রায়ের পরও হামজা ব্রিকস এর মালিক অবৈধ ভাবে ভাটা পরিচালনা করছে। তার কোন চুক্তিপত্র না থাকার পরও জমি দখলে নিয়ে ইট তৈরি ও পোড়ানো কাজ করে যাচ্ছেন। তার ডিড শেষ হবার পর জমি দখলে নিতে গেলে ভাটা মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনী কতৃক জমির মালিকদের মারপিট করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা জমির মালিকদের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। ভাটার বৈধ কাগজপত্র, জমির ডিড না থাকার অপরাধে স¤প্রতি ৪ বার ভ্রাম্যমান আদালত ভাটা মালিককে ৩ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এতেও থেমে নেই হুমায়ুন কবির। এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে হুমায়ুন কবির জমির মালিক শিমুল বিশ্বাসসহ অন্যান্য মালিকদের হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। বর্তমানে জমির মালিকরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবিরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন