আজ (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটিকে কেন্দ্র করে নানান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিব বর্ষে শপথ করি, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশে ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে সরকার ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ অধিদপ্তরটি। প্রতিবছর এ দিবসকে পালন করছে সরকারি এ সংস্থা। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচিতে দিবসটি পালন করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তার আগে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সামনে ওসমান গনি রোডে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর পাশাপাশি সারাদেশের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। ভোক্তার চারটি অধিকার সম্বন্ধে তিনি আলোকপাত করেন। এগুলো হলো- নিরাপত্তার অধিকার, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ দেওয়ার অধিকার। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরও বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরও আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে। কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন