নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের নাপিতখালিতে সড়ক বিভাগের নির্মিত লোহার উপর ঢালাই (আইরন ব্রীজটির) দু'টি স্প্যান মাটিতে দেবে খুবই ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে। প্রায় পাচ থেকে ছয় বছর ধরে ব্রীজটি ঝুঁকিপুর্ন অবস্থায় থাকলেও টনক নড়ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। স্বরূপকাঠি-পিরোজপুর সড়কে অবস্থিত ওই ঝুকিপূর্ন ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে দূর পাল্লার বাস সহ জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার চার শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন। এমতবস্থায় ওই ঝুকিপূর্ন ব্রীজ দিয়ে ভারি যানচলাচলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এতে বন্ধ হওয়ার উপক্রম জেলার সাথে সড়কপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমনটা মনে করছেন স্থানীয় জনেরা। সম্প্রতি সড়ক বিভাগ থেকে সাবধান ঝুকিপূর্ন ব্রিজ লেখা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে ব্রীজটি মেরামত বা সংস্কারের ব্যবস্থা নিচ্ছেননা পিরোজপুর সওজ।
জলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যা হুমাউন বেপারি বলেন, ব্রীজটি খুবই ঝুকিপূর্ন। যেহেতু ওই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন পাচশতাধিক ভারিযান সহ ছোট খাট ইঞ্জিনচালিত গাড়ী চলে। তাই অতিদ্রুত ব্রীজটি মেরামত দরকার। বিষয়টি আমার আয়ত্তের বাহিরে। তাই ব্যাপারটি জেলায় জানাবো।
সমেদয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান মো: হুমাউন বেপারি জানান, ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৯৯৯ সালে পিরোজপুরের নজরুল মাতুব্বর নামে এক ঠিকাদার ব্রীজটি নির্মান করেছিলেন। ব্রীজ নির্মানের প্রায় দুই যুগেও ওই ব্রীজে আর কোন সংস্কার করা হয়নি। তিনি বলেন ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার দরকার।
সরেজমিনে দেখাযায়, নাপিতখালি খালের উপর আয়রন ভিমের উপর নির্মীত ডালাই ব্রিজটি দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করে। ব্রীজের নির্মানের প্রায় দুই যুগ অতিক্রম হলেও হচ্ছেনা কোন সংস্কার। বর্তমানে ব্রিজের দুই পাশের আয়রন ভিমের জয়েন্ট খুলে ফাঁকার সৃষ্টি হয়ে নাট বোল্ড খুলে রয়েছে। সেখানের পাটাতন খুলে নিচে ডেবে গিয়েছে। এতে প্রতিদিন ঝুকি নিয়ে ব্রীজ পার হচ্ছে জেলার সাথে যোগযোগকৃত গনপরিবহনগুলো।
পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ(সওজ) বিভাগের সাব-এসিষ্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো: মোতালেব বলেন, ব্রীজটি ঝুকিপূর্ন। ওই ব্রীজের ভিমের কিছু নাটবোল্ট লুজ হয়েগিয়েছিল। এজন্য আমরা ওয়েলডিং করে ব্রীজের কিছু কাজ করেছি। ব্রীজটি ঝুকিপূর্ন বিধায় আমরা এ ব্যাপারে উর্ধ্বতনদের চিঠি দিয়েছি। যাতে ব্রীজটি নতুন করে নির্মান হয়।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো.মোশারেফ হোসেন বলেন, এটা নিয়ে জেলা পরিষদের মাসিক সভায় আলোচনা করেছি। ইঞ্জিনিয়ার এসে এটা ভিজিট করেছেন। তারা বলেছে ব্রিজটি ঝুকিপূর্ন আছে। তারা বলেছে,রাস্তা এবং ব্রিজের জন্য নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন