রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

কাফরুলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা ‌

‘নিলে নেন, না নিলে সময় নষ্ট কইরেন না’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২২, ৪:৩৮ পিএম

‘নিলে নেন, না নিলে সময় নষ্ট কইরেন না।’ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি কেন রাখছেন এই প্রশ্নের জবাবে মেসার্স আপন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারীর কাছ থেকে এমনই উত্তর পেয়েছেন রাজধানী কাফরুলের বাসিন্দা মেহেদী হাসান খান। শুধু মেহেদীই নন, এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে একই এলাকার অনেক ক্রেতাকে। তাদের অভিযোগ, এই এলাকার দোকানদাররা কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে রীতিমতো পকেট কেটে নিচ্ছেন তাদের।

উত্তর কাফরুল মোড় সংলগ্ন পাশাপাশি অবস্থিত মাহিম এন্টারপ্রাইজ, একতা এন্টারপ্রাইজ, ফয়সাল ট্রেডার্স, হক এন্টারপ্রাইজেরও একই চিত্র। স্থানীয়দের দাবি, দোকানে কম পরিমানে পণ্য রেখে তারা গোডাউনে মজুদ করে রাখছেন ভোজ্যতেল, চাল, আটাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। পরে কৃত্তিম সঙ্কটের অযুহাতে আরও বেশি দাম রাখা হয়।

মিরপুর ১৪, কচুক্ষেত বাজার, উত্তর কাফরুল, দক্ষিণ কাফরুল, ইব্রাহিমপুরসহ সংলগ্ন এলাকায় ৫ লিটারের ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ থেকে ৮৫০ টাকায়। ২ লিটারের দাম নেয়া হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। আর এক লিটারের তেলের মূল্য ১৮০ টাকা। এছাড়া খোলা তেল যার কাছ থেকে যেমন পারছেন আদায় করে নিচ্ছেন। অথচ বর্তমানে সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া বাজারমূল্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬৮ টাকা এবং বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭৯৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম সর্বোচ্চ ১৪৩ টাকা এবং প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েলের দাম ১৩৩ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযান পরিচালিত হলেও এই এলাকায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। সে সুযোগই নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারন ক্রেতারা। এ সমস্যা সমাধানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন