সাতক্ষীরা থেকে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু : রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারো সুন্দরবনের দুবলারচরে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূণ্য¯œান অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে তিন দিনের রাসমেলা শুরু হবে আগামী ১২ নভেম্বর।, রাস উৎসবে যোগ দিতে এরই মধ্যে অনেক পর্যটক লঞ্চ ও স্পিডবোট বুকিং নিতে শুরু করেছেন।
জানা যায়, সর্ববৃহৎ প্রাচীন রাসমেলা হয় সুন্দরবনের দুবলারচরে, একাধিক সূত্র মতে, ১৯২৩ সালে গোপালগঞ্জে ওড়াকান্দির হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুসারী হরিভজন নামে এক সাধু সুন্দরবনের দুবলাচরে রাস পূর্ণিমায় পূজা-পাবর্নাদি অনুষ্ঠানের করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর ওই দিন শুরু হয় রাসমেলা। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ রাসমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে বনবিভাগ, আইন -শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, আয়োজক কমিটিসহ বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ প্রহণ করেছে।
রাসমেলা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের পূণ্য স্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য ১০টি পথ নির্ধারণ করেছে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ। ওই পথগুলোতে তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে বনবিভাগ, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দল।
প্রতিটি ট্রলারে রং দিয়ে বিএলসি/সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। পূণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু যেমন, মাইক বাজানো, বাজি ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যেকোনো অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে।
এসব রুটগুলোতে আগামী ১০ নভেম্বর থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি র্যাব, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বনকর্মীরা ও নৌবাহিনীর টহল শুরু হবে। এ ছাড়াও দর্শনার্থীদের নামে বনে প্রবেশ করে কেউ হরিণ শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারেও প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুন্দবনের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মেলার সময় দর্শনার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ থাকলেও চোরা শিকারীরা ফাঁদ, বরশিসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকারে মেতে ওঠে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন