সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরায় চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসিবুল হোসেন (৯) কে কান ধরে উঠবস এবং বেদম মারধর করে গুরুতর জখম করেছেন এক শিক্ষিকা। তিনি কলারোয়া উপজেলা হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা। নাম জেসমিন আরা খাতুন। গত সোমবার বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত হাসিবুল দক্ষিণ দিগং গ্রামের প্রবাসী জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। আহত কোমলমতি শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান শিক্ষকের লাঠির আঘাতে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত স্কুল শিক্ষার্থীর মা সালমা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে হাসিবুল খলসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে। প্রতিদিনের ন্যায় সে স্কুলে যায়। পরে স্কুলে বাংলা বিষয়ের ক্লাসের সময় স্কুল শিক্ষক জেসমিন আরা খাতুন ম্যাডামের দেয়া পড়া সঠিক বলতে না পারায় তিনি হাসিবুলকে কান ধরে উঠবস করতে বলেন। এ সময় হাসিবুল সঠিকভাবে উঠবস করতে না পারায় ওই শিক্ষিকা ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে হাসিবুলের চোখে আঘাত লেগে রক্ত পড়ার পরও তাকে মারপিট করেন।
হাসিবুলের মা আরো জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক জেসমিন খাতুন এর আগেও একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে এ ধরনের আচরণ করেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নি। তিনি তার চতুর্থ শ্রেনীতে পড়–য়া ছেলে হাসিবুলের ওপর এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এবং তার চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তার নিকট দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
খলসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জেসমিন আরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ক্লাসের পড়া না পারায় তাকে একটু শাস্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার চোখে আঘাতের বিষয়টি অনাকাক্সিক্ষতভাবে ঘটেছে। এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন