মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জাবিতে আধিপত্য বিস্তারের জেরে দলীয় কর্মীকে পেটালো ছাত্রলীগ

প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাবি সংবাদদাতা : আসন্ন শাখা ছাত্রলীগের কমিটিকে সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তারের জেরে নিজ দলের কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুমের দরজা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে এ মারধর করা হয়। হামলার শিকার জাবেদ সজল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মারধরের শিকার সজল ও মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি ও উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক বশিরুল হকের অনুসারী।
অন্যদিকে মারধরের ঘটনার সময়ে সভাপতি গ্রæপের নেতাকর্মীদের সাথে তর্কে জড়িয়ে হাতাহাতি হয় একই হলের সাধারণ সম্পাদক গ্রæপের নেতাকর্মীদের সাথে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে হলে ভীতি ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ কর্মী ও নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।’
ছাত্রলীগ কর্মী সজলকে মারধরকারী ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেনÑ মীর মশাররফ হোসেন হলের সুব্রত কুমার সাহা, অভিজিৎ নন্দী, মানোয়ার, শিহাব রাজ, ইসমাইল হোসেন, ফরহাদ হোসেন, মো. আলী আহসান, বায়েজিদ আহমেদ, সিফাত আহমেদ রাতুল, আজমুস সাহান নওরোজ প্রণয়। এদের মাঝে সুব্রত, অভিজিৎ, বায়েজিদ, প্রণয় ও সিফাতের বিরুদ্ধে সাংবাদিক মারধরের অভিযোগ রয়েছে। মারধরের শিকার জাবেদ সজল বলেন, ‘আমার দরজা ভেঙে উপ-সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক বশিরুল হকের নির্দেশে তার অনুসারী ১২-১৩ জন ছাত্রলীগ কর্মী আমার কক্ষে প্রবেশ করে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করতে থাকে এবং রুম থেকে বের হতে বলে। আমি তাতে অস্বীকার করলে একপর্যায়ে তারা আমার মুখে গামছা গুঁজে দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে হলের সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বর মাসে শাখা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিকে সামনে রেখে ক্লিন ইমেজের নেতাকর্মীদের হল থেকে বের করে দেয়ার অংশ হিসেবে তারা গতকাল আমাকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।’
তবে মারধরে নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক বশিরুল হক বলেন, ‘আমি এ সম্পর্কে কিছু জানি না’ এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, যারা মারধরের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যাক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “হলের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ দিবো।”

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন