রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অনাকাক্সিক্ষত রেল দুর্ঘটনা কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। একটি বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ বছরে এ ধরনের দুর্ঘটনায় ২১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এলজিইডি, সওজসহ নানা সংস্থা রেলপথের উপর লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করছে। এসব ক্রসিং নির্মাণের সময় রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়নি। অনুমোদনহীন ক্রসিংগুলোর বেশিরভাগই অরক্ষিত ও বিপজ্জনক! এছাড়া যেসব ক্রসিং বৈধ সেসবের মধ্যে কোনো কোনোটার প্রতি রেলের নজরদারি নেই। নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। তাই এসব ক্রসিংয়ে যানবাহন চলাচলের সময় ব্যারিকেড দিতে দেখা যায় না, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব রয়েছে। এমনকি এসব ক্রসিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও কোনো মাথাব্যথাও নেই। তাছাড়া রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় বিভিন্ন যানবাহন ও জনসাধারণের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব কাজ করায় অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবহন ও জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ওভারপাস ও আন্ডারপাস তৈরি হলেও মফস্বল এলাকায় এসব সুবিধা নেই। তাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ রেল ক্রসিংগুলোতে ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ করতে পারলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হতো এবং রেল দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও রোধ হতো।
গৌরীপুর, ময়মনসিংহ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন