শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

স্কুল জীবনের মুহূর্তগুলো এখনো স্মৃতিতে দোলা দেয়

ভার্চুয়ালি বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২২, ১২:০৮ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এফসিএ, এমপি বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু মুহূর্ত থাকে যেগুলো কখনই ভুলবার নয়। আমারও স্কুল জীবনের মধুময় দিনগুলোর ভাললাগা মুহূর্তগুলো স্মৃতিতে দোলা দিয়ে যায়। ইচ্ছে জাগে আবারও ধুলোমাখা শরীরে ফিরে যাই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। গতকাল শনিবার বিকালে কুমিল্লার দক্ষিণ জনপদের বিদ্যাপীঠ বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় শতবর্ষের আলো ছড়ানো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালে শত বছর পূর্ণ করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এ জনপদকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করার লক্ষ্যে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরুটা ছিল বন্ধুর ও কন্টকাকীর্ণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়ে শিক্ষার আলো বিতরণ শুরু করে। তার মধ্যে অন্যতম প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯২১ সালে। আর কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বাগমারা বাজারের সন্নিকটে ডাকাতিয়া এবং গুইঙ্গাজুরির তীরবর্তী স্থানে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ১৯২১ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত করেন আমাদের কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত এই বিদ্যাপীঠ।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এখান থেকে আমি এসএসসি পাস করেছি। এটা আমার কাছে অনেক গর্বের। এই বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট যে কোনো কাজে প্রাণের টানে ছুটে যাই আপন তাগিদে। আমার বিশ্বাস, ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির আলোকিত সন্তানেরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।
শতবর্ষ উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আবদুল মালেক, শামসুল হক, একেএম আমিনুল ইসলাম, এটিএম শামসুদ্দিন, আবদুল বারী বিএ, শামসুল হক, অধ্যাপক আবদুল মমিন মজুমদার, এম এ কাসেম, প্রিন্সিপাল জামাল নাছের প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন