দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ৪ মাস পরই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ নেয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বুস্টার ডোজের এসএমএস না আসলেও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করা যাবে।
গত বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন এ ঘোষণা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই জানেন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ নেয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন বলছে, ছয় মাস নয়, চার মাস হলেই বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে। এ সময় যাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার চার মাস হয়ে গেছে; তাদের বুস্টার ডোজ টিকা নিতে আহŸান জানান মন্ত্রী। অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ঘোষণার পর ইতিমধ্যে দেশের সব কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
শ্যামলীর ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার ইনকিলাবকে জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ইতিমধ্যে আমাদের হাসপাতালে ৪ মাস হয়েছে এ রকম আগ্রহীদের বুষ্টার ডোজ চালু করেছি। একই সঙ্গে বুস্টারের এসএমএস পেয়েছে এ রকম কেউ এই কেন্দ্রে আসলেও টিকা পাচ্ছে।
জাহিদ মালেক জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের বিশেষ ক্যাম্পেইন হওয়ার কথা থাকলেও সেটি এগিয়ে এনেছে সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মদিনকে ঘিরে গত বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ শুরু করা হয়েছে সেই ক্যাম্পেইন। এর মাধ্যমে সোয়া ৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। যা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা পেলে ১২ বছরের নিচে বয়সীদের টিকা দেয়া হবে। যার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের মৃত্যু ও সংক্রমণ কমিয়ে আনা এবং টিাকা কার্যক্রমে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। গত কিছু দিন ধরে করোনায় মৃত্যু শুণ্য। নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের সংখ্যাও খুবই নগন্য। দেশের মানুষকে টিাকার আওতায় আনার ক্ষেত্রেও সাফল্য দেখিয়েছে দেশ। গণটিকা কার্যক্রম, সারাদেশের তৃর্ণমূল পর্যায়ে ক্যাম্পেইন করে টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। টিকা কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এমনকি ১২ বছর বয়সীদের বুষ্টার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ডোজ করোনা টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন