দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন এবং রায়ের পর তার আইনজীবী আপিল করার শর্তে তার জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত তা নামঞ্জুর করেন জানিয়ে তার আইনজীবী আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী নগরীর জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও হেফাজাতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির। তার বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু জানান, ২০১৩ সালের ১৭ জুন মুফতি ইজহারুল ইসলামের সম্পদের বিবরণ চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক। ৭ আগস্ট নির্ধারিত সময় সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় এবং সময়ের আবেদনও না করায় মামলার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এরপর ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে খুলশী থানায় ইজহারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক শহীদুল আলম সরকার। ২০১৫ সালে অন্য মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতারের পর দুদকের মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। পরে ওই মামলায় তিনি জামিন পান।
তার আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, নির্ধারিত সময়ে মুফতি ইজহার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে পারেননি। পুলিশের মামলা-হামলার কারণে প্রাণ বাঁচাতে তিনি নিজ বাসায় ছিলেন না তখন।
তবে পরবর্তীতে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন এবং দুদক এতে কোনো অসঙ্গতি না পেয়ে তাকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী জমা না দেয়ার মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন