রমজানকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে নিরবে বেড়ে চলছে খেজুরসহ সব ধরনের আমদানিকৃত ফলের দাম। বরিশাল মহনগরীর সব পাইকারি দোকানগুলোতে গত দিন দশেক যাবত কোনো খেজুর নেই। সিন্ডিকেট করে বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে পাইকাররা। অন্যসব ফলের দামও বেড়ে চলেছে নিয়ন্ত্রহীনভাবে। বিষয়টি নিয়ে কোনো জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নজরদারি নেই বলে অভিযোগ সাধারণ ভোক্তাদের।
খেজুর ছাড়াও কমলা, আপেল, নাসপতি ও মাল্টাসহ সব আমদানিকৃত ফলের দামও গত এক সপ্তাহে ৩০ থেকে ৫০ ভাগ পর্যন্ত বেড়েছে। স্থানীয় পাইকারি ফল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ঢাকার পাইকারি ফলের বাজারে গত দিন দশেক যাবত বেশি দাম রাখায় বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্রই তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তবে পাইকারি ফল ব্যবসায়ীদের এ দাবি পুরোপুরি সত্যি নয় বলে স্থানীয় খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন। অপরদিকে পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে বাজারে ফলের দাম অতিরিক্ত বেশি।
গত এক সপ্তাহে বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতিকেজির কমলার দাম ১৩০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় উঠেছে। মাল্টা’ও বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকার স্থলে ১৯০ থেকে ২শ’ টাকায়। আঙুরের কেজি ১৭০ টাকা থেকে ২২৫ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ১৬০ টাকার নাসপতি এখন ২৩০ টাকা কেজি। এছাড়া ড্রাগনসহ অন্যসব অপ্রচলিত ফলের দামও বাড়তির দিকে। থাই পেয়রার কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় উঠেছে। পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠীতেও একই পরিস্থিতি। এসব জেলাগুলো ছাড়াও সন্নিহিত উপজেলা পর্যায়ে ফলের দাম আরো বেশি।
তবে পাইকারি পর্যায়ে খেজুর বিক্রি প্রায় বন্ধ। বরিশালের পোর্ট রোডের প্রায় সব পাইকারি ফলের আড়ত ঘুরে কোথাও খেজুরের দেখা মেলেনি। কিছু খুচরা ফল বিক্রেতা সরাসরি ঢাকার বাদামতলী পাইকারি বাজার থেকে খেজুর সংগ্রহ করে বরিশালে বিক্রি করছেন। সেক্ষেত্রে নিম্নমানের খেজুর থেকে দামি খেজুরের দাম গত পনের দিনে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে দুশ টাকা পর্যন্ত। আর স্থানীয় পাইকাররা, রোজার শুরুতে বাড়তি দামে বিক্রির লক্ষ্যে তা গুদামজাত করছে বলে অভিযোগ খুচরা বিক্রতাদের। তাদের মতে, এবার বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির রেশ ধরে রোজাকে সামনে রেখে খেজুরসহ সব ধরনের আমদানিকৃত ফল গত বছরের প্রায় দ্বিগুন দামেই কিনতে হবে ক্রেতাদের।
তবে ভোক্তঠসু রোজাকে সামনে রেখে সব ধরনের ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে কঠোর মনোভাব প্রদর্শনের তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি রোজাকে সামনে রেখে অতীতের মত এবারো খেজুরসহ কয়েকটি শুকনো ফলের দাম ক্রেতাদের আয়ত্বে রাখার স্বার্থে সব ধরনের কর ও মুসক প্রতাহারেরও দাবি জানান হয়েছে ভোক্তাদের পক্ষ থেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন