ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দীর্ঘ ১৭ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।
২২ মার্চ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে তিনি মুক্তি পান। এর আগে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। কারাগার থেকে বের হয়ে আসার পর জেল গেটে তাকে স্বাগত জানান পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
জেল গেটে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি শাহীন হাসনাত, ডিইউজে দৈনিক সংগ্রাম ইউনিটের ডেপুটি ইনচার্জ ও সিনিয়র রিপোর্টার সামছুল আরেফীন প্রমুখ। মুক্তি লাভের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। এ ছাড়া তার মুক্তি চেয়ে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
বিএফইউজের বারবার নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দেশের শীর্ষ সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর তার কর্মস্থল দৈনিক সংগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এরপর থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি।
তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ রাখা হয়। ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল হোসেন রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি এফআইআর করেন। সেখানে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসাইন ও চিফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজীকে আসামি করা হয়।
সম্পাদক আবুল আসাদ ও বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসাইন দীর্ঘদিন আগে জামিনে মুক্তি পেলেও বারবার রুহুল আমিন গাজীর জামিন আটকে যায়। অপারেশনসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত এ সাংবাদিক নেতা কারাগারে নানা অসুস্থায় ভুগছিলেন। তারপরও তিনি কারাগারে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের অবিসংবাদিত এ নেতা গ্রেফতারের পর থেকেই তার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে আসছিল। অবশেষে মঙ্গলবার এ নেতা জামিনে মুক্তি পেলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন