শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পুলিশ দেখে দৌড়ে পালানোর সময় চাঁন মিয়া হাওলাদার (৪০) নামের এক ইতালি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার পণ্ডিতসার দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
চাঁন মিয়া হাওলাদার উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের পণ্ডিতসার দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ফজল হক হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্র জানায়, গত ২৯ জানুয়ারি ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেন চাঁন মিয়া। সম্প্রতি তার বন্ধু নড়িয়া উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের নলতা গ্রামের রুবেল সরদার (৪০) ও নিতিরা গ্রামের তুহিন পেদাও (৩৫) দেশে ফিরেন। ইতালিতে চাঁন মিয়ার সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। আবার মীমাংসাও হয়। সে ঝগড়ার জেরে গত ১৯ মার্চ সকালে নড়িয়া বাজারে গেলে রুবেল ও তুহিন মিলে চাঁন মিয়াকে মারধর করেন। প্রাথমিক চিকিৎসাও করান চাঁন মিয়া। এ নিয়ে ২১ মার্চ বিকেলে স্থানীয় ঘড়িসার বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে রুবেলের স্ত্রী লিজা আক্তার নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দেন।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে সে অভিযোগ তদন্তে নড়িয়া থানার পুলিশ চাঁন মিয়ার বাড়িতে যায়। পুলিশ দেখে দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে চাঁন মিয়ার মৃত্যু হয়।
চাঁন মিয়ার ভাই কালু হাওলাদার বলেন, রুবেল ও তুহিন পুলিশসহ আমার বাড়িতে হামলা করে। পরে আমার ভাইকে পুলিশ ও রুবেল-তুহিনরা ধাওয়া দেয়। পরে শুনি আমার ভাই মরে পড়ে আছে। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
নিহত চাঁন মিয়ার স্ত্রী পায়েল বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে রুবেল-তুহিনের কোনো শত্রুতা ছিল না। ওরা আমার স্বামীকে মাইরা ফেলাইছে। আমার এক ছেলে কাকে বাবা বলবে। কীভাবে বাঁচবো আমরা।
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বলেন, থানায় যে কোনো মামলা বা অভিযোগ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা তদন্তে যাই। চাঁন মিয়ার বাড়িতে তদন্তে গেলে তিনি পালিয়ে যান। আমরা তাকে ধাওয়া করিনি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি সংকর কর বলেন, পুলিশ দেখে পালিয়ে যান চাঁন মিয়া। হাফ কিলোমিটার গেলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে ঘরিসার আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন