গফরগাঁও উপজেলায় মসজিদের তারাবির ইমাম নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষের মারামারিতে গুরুত্বর আহত আনসার সদস্য মো. জলিল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পরে পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নের মশাখালী মধ্যপাড়া বায়তুল ফালা জামে মসজিদে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে পাগলা থানায় একটি মামলা করেন। জানা যায়, গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তারাবির নামাজের ইমাম নিয়োগ নিয়ে মসজিদ কমিটির লোকজন ও মুসল্লিদের আলোচনা হয়। আলোচনার একপর্যায়ে দুই পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে হাতাহাতি শুরু হলে আ. আওয়ালসহ তার চার ছেলে ফারুক, মিশুম, মানিক, মাসুম ও মুসল্লি আ. রাজ্জাক ও সুমন মিয়া দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আনসার সদস্য জলিল মিয়ার ওপর হামলা চালায়। হামলায় জলিল মিয়ার হাত, পা ও মাথায় গুরুত্বর জখমের শিকার হন।
এ সময় উপস্থিত মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী মানসুরা আক্তার জানান, আবদুল আওয়াল ও তার ছেলেরা মিলে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বলেন, বিনা কারণে আওয়াল ও তার ছেলেরা আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সঠিক শাস্তি চাই। পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন