বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

ক্ল্যামিডিয়া : একটি যৌনঘটিত রোগ

| প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২২, ১২:২০ এএম

ক্ল্যামিডিয়া একটি যৌনঘটিত সংক্রমণ। ক্ল্যামিডিয়া মূলত জীবাণু। যা অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলে একজনের দেহ হতে অন্যজনের দেহে প্রবেশ করে সংক্রমণ তৈরী করে। রোগটি সম্পর্কে আমাদের সাধারনের জ্ঞান নেই বললেই চলে। তাই অনেকেই জানেন না যে তার দেহে ক্ল্যামিডিয়া সংক্রমণ রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গ নাও থাকতে পারে।

উপসর্গঃ
সাধারণত ২৫ বছরের নিচের বয়সী ব্যক্তি এবং নারীরাই এ রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। তবে ৭০-৯৫ শতাংশ নারীর মধ্যে এ রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। পুরুষের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। পশ্চিমা দেশগুলোতে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। সংক্রমণের ৫-১০ দিনের মধ্যে এর কোন উপসর্গ দেখা যায় না। তবুও ক্ষেত্রবিশেষে কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। যা নিম্নরূপঃ-

পুরুষের ক্ষেত্রে-
১. পুরুষাঙ্গের মাথা হতে রস বা পুঁজ নিঃসৃত হবে।
২. প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করা।
৩. এপিডিডাইমিস সংক্রমিত হয়ে অন্তকোষ ফুলে যায় ও ব্যথা করে।
৪. মলদ্বার ফুলে যাওয়া, মলদ্বারের চারপাশ জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়।
৫. মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভুত হয় ইত্যাদি

নারীর ক্ষেত্রে-
১) তলপেটে ব্যথা অণুভূত হয়।
২) মাসিকের স্রাবের সাথে রক্তপাত।
৩) যৌনাংগ হতে হলুদ পদার্থ বের হয়।
৪) প্রস্রাবের সময় যৌনাঙ্গে ব্যথা ও মাঝে মাঝে জরায়ুর ভেতরে ফুলে যায়।
৫) মলদ্বার ফুলে যায়।
৬) সংক্রমনের পর জ্বর অনুভূত হয়।
৭) যৌনমিলনের সময় জরায়ু থেকে রক্তপাত হয় ইত্যাদি

উভয়ের ক্ষেত্রে-
১. যৌনমিলনের পর ব্যথা হয়।
২. কোমড় ব্যথা হয়।
৩. উভয়ের চোখ লাল হতে পারে ও গলায় ব্যথা থাকতে পারে।

জটিলতাঃ
গর্ভবতী মহিলার ক্ল্যামিডিয়ার সংক্রমিত হলে নবজাতকের মধ্যে সংক্রমনের আশংকা থাকে। এ ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

কীভাবে রোগটি সংক্রমিত হয়ঃ
১) যে জীবানুটি সংক্রমন ঘটায়, তার নাম ক্ল্যামিডিয়া ট্রাকিমাটিস। জীবাণুটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার মতো দেখতে।
২) অনিরাপদ যৌন সংগমের ফলে এর সংক্রমন ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কেউ যৌন সংগম করলে অপর ব্যক্তিটি আক্রান্ত হয়।
৩) যৌনকর্মে ব্যবহৃত বস্তু দিয়েও এর সংক্রমণ হয়।

চিকিৎসাঃ
রোগটি নির্ণয়ের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, যৌনরোগ অন্য রোগের মতোই শারীরিক সমস্যা। তাই গোপন না করে চিকিৎসকের কাছে সঠিকভাবে সমস্যার কথা বলে উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে হবে। নিয়ম করে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা গ্রহণ কালে চিকিৎসকের পরামর্শমতো আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। রোগ সেরে গেলেও ৩ মাস পর পরীক্ষা করতে হবে যে জীবাণুটি আছে কিনা।

মোঃ হুমায়ুন কবীর
কনসালট্যান্ট, রেনেসাঁ হ্যোমিও মেডিকেয়ার
৮৯, সিটি কর্পোরেশন মাকেট, নিমতলী,
চানখাঁরপুল, ঢাকা-১০০০।
০১৭১৭৪৬১৪৫০, ০১৯১২৭৯২৮৯৪

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন