বংশাল থানার গেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় গত ২৪ ঘন্টায়ও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল নজরুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর। গত বুধবার দিবাগত রাতে বংশাল থানার প্রবেশপথের সামনে আটক করে আনা ছিনতাইকারী ইমনের সুইচ গিয়ারের আঘাতে তারা আহত হন। আহতরা হলেন-এসআই এম রবি হাসান, এএসআই তাজুল ইসলাম, কনস্টেবল নজরুল, সজীব ও শফিকুল আহত হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়ায় চুরি করার সময় পুলিশের কাছে হাতেনাতে আটক হন দুই যুবক। পরে গাড়িতে তাদের নেয়া হচ্ছিল থানায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে থানার গেটে প্রবেশ করতেই বাঁধে বিপত্তি। আটক দুই চোরের একজনের পকেটে থাকা ধারালো অটোগিয়ার চাকু দিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। তার এলোপাতাড়ি আঘাতে জখম হন পাঁচ সদস্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার বংশাল থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে ইমন ও জুয়েল নামে দুই ছিনতাইকারীকে পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাদের থানার গাড়িতে বংশাল থানার সামনে নিয়ে আসা হয়। থানার প্রবেশপথে গাড়ি থেকে নামিয়ে শরীর তল্লাশি করার সময় হঠাৎ ছিনতাইকারী ইমন সুইচ গিয়ার বের করে পাঁচ পুলিশকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে পাঁচজন আহত হন।
তিনি বলেন, পাঁচ পুলিশ সদস্যের মধ্যে কনস্টেবল নজরুলের অবস্থা গুরুতর। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত পলাকত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অণ্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নগর ভবনের দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিলেন শাহবাগ থানার এসআই জাহাঙ্গীর মিয়া। ছুরিকাঘাতে তার পিঠে ইঞ্চিখানেক গভীর ক্ষত হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টায় জাহাঙ্গীর ডিউটি শেষ করে পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় ওই দিক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। অনেক ভিড় ছিল
হঠাৎ তিনি ডান পাঁজরে ব্যথা অনুভব করেন। হাত দিয়ে দেখেন রক্ত ঝরছে। ভিড়ের মধ্যে কোনো দুর্বৃত্ত ছুরি দিয়ে আড়াআড়ি টান (পোচ) মারে তার পিঠে। তবে এ ঘটনায়ও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বংশাল ও শাহবাগ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন