শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ঢাবিতে নানা আয়োজনে গণহত্যা দিবস পালিত

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০২ এএম

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রি স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যৌথ উদ্যোগে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে গণহত্যা দিবস। এ উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরস্থ স্মৃতি চিরন্তনে মোমবাতি প্রজ্বলন, শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, ২৫ মার্চ কালো রাতের বীভৎস ইতিহাসের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর প্রফেসর ড. একেএম গোলাম রব্বানী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. নিজামুল হক ভুঁইয়াসহ আরো অনেকে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ বলেন, এই রাত ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর শেষ রাত যারা এই রাত পর্যন্ত এদেশকে শাসন করছিল। সেই কালো রাতে যারা নির্মমভাবে হত্যা হয়েছিল তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রফেসর রহমত উল্লাহ।
প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, এদিনে বিডিআরের সদর দপ্তর ও পুলিশের সদর দফতরে হামলা করা হয়েছিল। অন্য দিকে যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হয় (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) সেখানে হামলা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর হামলা করে প্রকৃত পক্ষে এ জাতিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সভাপতির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই মহান মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তলন ও তার ঠিক চারদিন পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এই দু›টি ঐতিহাসিক ঘটনাই মূলত পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোয় প্রচন্ড আঘাত হেনেছিল এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের পতন অত্যাসন্ন করেছিল।
রাত ৯টায় জগন্নাথ হলে মোমবাতি প্রজ্বলন করে এক মিনিট নিরবতা পালন ও গণহত্যার মৃত্যুবরণ করা দেশপ্রেমিদের মাগফেরাত কামনায় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন